গত কয়েকদিনের প্রবল বৃষ্টির জেরে দামোদর নদে জল বাড়ায় দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে বৃহস্পতিবার দফায় দফায় জল ছাড়ার ফলে দামোদর নদের অববাহিকায় দেখা দিয়েছে প্লাবন। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে কাঁকসার সিলামপুরে দামোদর নদের জল ঢুকে গোটা এলাকা প্লাবিত হয়ে যায়। সিলামপুর ছাড়াও আইমা ও তার পার্শবর্তী গ্রামগুলো জলমগ্ন হয়ে পড়ে। বুধবার দুপুরে এলাকা পরিদর্শনে আসেন দুর্গাপুর মহকুমা শাসক, কাঁকসার বিডিও সুদীপ্ত ভট্টাচার্য্য, কাঁকসা থানার ভারপ্রাপ্ত আইসি অর্ণব গুহ এবং অমলাজোড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান চয়নিকা পাল সহ অন্যান্য আধিকারিকরা।
যে সমস্ত এলাকা জলমগ্ন হয়ে যায় সেই সমস্ত এলাকার বাসিন্দাদের স্থানীয় স্কুল ঘরে থাকার ব্যবস্থা করেন প্রশাসনের আধিকারিকরা। পাশাপাশি গোটা এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে যাতে কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে। গোটা এলাকা জুড়ে লাল সর্তকতা জারি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে প্রায় ১৫টি বাড়ির বাসিন্দাদের অন্যত্র সরানোর ব্যবস্থা করা হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থানীয় একটি স্কুলে। সিলামপুর গ্রামের মসজিদ থেকে মাইকিং করে যে সমস্ত এলাকার মানুষ দামোদরের চড়ে বসবাস করেন তাঁদের সতর্ক করা হয়। দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক শশাঙ্ক শেখর চৌধুরী জানিয়েছেন, দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে এদিন সন্ধ্যায় প্রায় ২ লক্ষ ২২ হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়া শুরু হয়। ইতিমধ্যে দামোদরের পাড়ে বসবাস করা সমস্ত মানুষদের সরানো শুরু করা হয়েছে।
অপরদিকে, অজয়ের জল ঢুকে অজয় নদের তীরবর্তী কাঁকসার বনকটি ও বিদবিহার অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা ডুবে যায়। ব্যাপক ক্ষতি হয় ফসলের। যে সমস্ত এলাকায় জল ঢুকতে শুরু হয়েছে সেই সমস্ত এলাকা এদিন পরিদর্শন করেন কাঁকসার বিডিও এবং কাঁকসা থানার ভারপ্রাপ্ত আইসি অর্ণব গুহ এবং কাঁকসার এসিপি শ্রীমন্ত ব্যানার্জী সহ স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যরা। যে সমস্ত এলাকা জলমগ্ন সেই সমস্ত এলাকার বাসিন্দাদের অন্যত্র সরানোর ব্যবস্থা করা হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে। পাশাপাশি কাঁকসার টুমনি নদীতে অজয়ের জল ঢুকে টুমনি নদীর তীরবর্তী এলকাগুলি জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। এলকার সমস্ত চাষের জমি জলের তলায় চলে যাওয়ায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন এলাকার কৃষকরা।