সমাজের পিছিয়ে পড়া এবং আর্থিকভাবে দুর্বল পরিবারের মেধাবী ছাত্রদের পঠনপাঠন সহ ভবিষ্যৎ গড়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে দুর্গাপুরিয়ানদের গঠিত মঞ্চ দুর্গাপুর আড্ডা ইয়ং অ্যাসোসিয়েশনের ছাত্র কমিউন ‘সেতু’র নবতম সংযোজন সিঞ্চন এর পথ চলা শুরু হল।।
জানা গেছে, দুর্গাপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রাথমিকভাবে ৫০ জন ছাত্রের একটি তালিকা তৈরি করা হয় পরে তাদের মধ্য থেকে মেধার ভিত্তিতে পাঁচ জন ছাত্রের ভবিষ্যত গড়ার দায়িত্ব তুলে নেন দুর্গাপুর আড্ডা ইয়ং অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা। দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানায় কর্মরত রাজেশ সেন সমাজের পিছিয়ে পড়া মেধাবী ছাত্রদের জন্য কিছু করার কথা প্রথম ভাবেন। এর পর নিজের মস্তিষ্ক প্রসূত সমাজ সেবার ভাবনা বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করেন রাজেশবাবু। তারপরই সকলে মিলে দুর্গাপুরের বুকে পিছিয়ে পড়া মানুষদের পাশে দাঁড়াতে সিঞ্চনের জন্ম দেন। জানা গেছে, এই মুহূর্তে পরিকাঠামোর অভাবে ছাত্রীদের এই সুযোগ না দিতে পারলেও ভবিষ্যতে ছাত্রীদের পঠনপাঠনের সুযোগও দেওয়া হবে।
রবিবার দুর্গাপুরের বিধান নগরের স্টিল পার্কে সিঞ্চনের শুভ সূচনা করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক শঙ্খ সাঁতরা। বিশিষ্ট মানুষদের উপস্থিতিতে রবিবার থেকে সিঞ্চন পথ চলা শুরু করে। বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার ও দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক শঙ্খ সাঁতরা সহ উপস্থিত বিশিষ্ট জনেরা সকলেই দুর্গাপুর আড্ডা ইয়ং অ্যাসোসিয়েশনের এই সেবামূলক কর্মকান্ডের ভূয়সী প্রশংসা করেন। দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক শঙ্খ সাঁতরা সিঞ্চনের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেন বলে দাবি দুর্গাপুর আড্ডা ইয়ং অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সুদীপ খানের। দুর্গাপুর আড্ডা ইয়ং অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা পাশে দাঁড়ানোয় সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষগুলোর মুখে হাসি ফোটে।