হাসপাতালে ভয়াবহ আগুন। কিভাবে উদ্ধার করা হবে সকলকে তারই এক মহড়া দেখল দুর্গাপুরের বাসিন্দারা। শনিবার দুর্গাপুর মহকুমা প্রশাসনের উদ্যোগে ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স (এনডিআরএফ) দুর্গাপুরের মিশন হাসপাতালে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলে বিপর্যয় মোকাবিলাকারী দল কিভাবে হাসপাতাল থেকে সকলকে বের করে আনবে তারই মহড়া চালায়। এই মহড়া দেখতে মিশন হাসপাতালে মানুষের ঢল নামে। এনডিআরএফ-এর সদস্যরা দমকল, পুলিশ প্রশাসন, হাসপাতালের কর্মী সহ স্থানীয় ক্লাব সদস্যদের হাসপাতালে আগুন লাগার সময় থেকে আগুন নেভানো সহ রোগী, রোগীর আত্মীয় এবং হাসপাতাল কর্মীদের কিভাবে বাইরে আনা হবে তার সবকিছুই অত্যাধুনিক উপায়ে হাতেকলমে করে দেখান। এই মহড়া দেখে রোগীর আত্মীয় স্বজনরা খুশি। আজ দুর্গাপুর ও আসানসোল এর সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি হাসপতালের প্রতিনিধিরা মহড়া প্রত্যক্ষ করেন।
আজ এনডিআরএফ-এর এই মহড়ার পূর্বে আনুষ্ঠানিক ভাবে দুর্গাপুরের মিশন হাসপাতালে ‘হাসপাতালে অগ্নি নিরাপত্তা’ নিয়ে এক সেমিনারের সূচনা করেন জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন এবং দুর্গাপুর মিশন হাসপাতালের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ সত্যজিৎ বোস। আজকের এই অনুষ্ঠানে বিপর্যয় মোকাবিলায় আপদকালীন পরিস্থিতিতে কি করণীয় ও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে বক্তব্য রাখেন জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন। হাসপাতালে এই ধরণের মহড়া করতে দেবার জন্য জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে বিশেষ শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয় মিশন হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডাঃ সত্যজিৎ বোসের হাতে।
এনডিআরএফ-এর ডেপুটি কমান্ডেন্ট বিজয় সিং চৌধুরি বর্ধমান ডট কমকে বলেন,”দুর্গাপুরে এই ধরণের মহড়া প্রথমবার হল এই হাসপাতালে। মিশন হাসপাতালের পরিকাঠামো দেখেই আমরা এই হাসপাতালে আগুন লাগলে বিপর্যয় মোকাবিলা করার জন্য মহড়া করলাম। যাতে হাসপাতালের কর্মী থেকে পুলিশ প্রশাসন সকলেই প্রথমিক কিছু অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পারে। ভবিষ্যতে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলে এই প্রশিক্ষণ মানুষের প্রাণ বাঁচাতে সাহায্য করবে।” বিজয় সিং চৌধুরি আরও বলেন, আজ আমরা ৪০ জন এনডিআরএফ সদস্য কলকাতা ইউনিট থেকে এসেছি এই মহড়া করতে। বিপর্যয়ের ভয়াবহতার উপরই এনডিআরএফ সদস্যরা কলকাতা থেকে দুর্ঘটনাস্থলে হেলিকপ্টার বা গাড়িতে আসবে তা নির্ভর করে। তার জন্যই স্থানীয় মানুষ ও পুলিশ প্রশাসনকে সচেতন করতে এই মহড়া।