উপর সগরভাঙ্গার কুষ্ঠ কলোনীতে শীতের রাত। শীতবস্ত্র কম থাকায় ঠান্ডার কারণে অনেকেই রাতে ভালভাবে ঘুমোতে পারেন না। বুধবার রাতে কুষ্ঠ কলোনীর বাসিন্দারা যখন ঘুমোতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ঠিক সেই সময় মসীহা হয়ে কুষ্ঠ কলোনীর বাসিন্দাদের মাঝে শীতের চাদর ও কম্বল নিয়ে হাজির হলেন দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। মহকুমাশাসক শঙ্খ সাঁতরা কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত মানুষদের গায়ে কম্বল জড়িয়ে দিলেন। হঠাৎ মহকুমাশাসককে তাঁদের কলোনীতে দেখতে পেয়ে কুষ্ঠ কলোনীর অন্যান্য বাসিন্দারা চলে এলেন মহকুমাশাসকের কাছে। এরপর মহকুমাশাসক শুরু করলেন চাদর ও কম্বল বিতরণ। শিল্পাঞ্চলের প্রচন্ড ঠান্ডায় কম্বল ও চাদর পেয়ে কলোনীর বাসিন্দারা দু’হাত তুলে আশীর্বাদ করলেন মহকুমাশাসক সহ অন্যান্যদের। শুধু তাই নয় চাদর ও কম্বল হাতে নিয়ে এবং মহকুমাশাসককে কাছে পেয়ে তাঁরা তুলে ধরলেন তাঁদের নানান সমস্যার কথা। মহকুমাশাসক গুরুত্ব সহকারে ও আন্তরিকতার সঙ্গে তাঁদের সমস্যাগুলি শুনলেন। কুষ্ঠ কলোনীতে থাকলেন রাত ১০.৩০ পর্যন্ত। ওরাও খুশি সরাসরি তাঁর সাথে কথা বলে। কলোনীর বাসিন্দাদের নানান সমস্যার কথা উপলব্ধি করে মহকুমাশাসক কুষ্ঠ কলোনীটিকে ‘মডেল ভিলেজ’ রূপে গড়ে তোলার উদ্যোগ নেবেন বলে ঘোষণা করেন। তাঁর এই উদ্যোগের কথা শুনে কুষ্ঠ কলোনীর বাসিন্দা শিশুমতি খিলাড়ি বলেন,”আমাদের কলোনী মডেল ভিলেজ হলে আমরা সব ধরণের সুযোগ সুবিধা পাব। এতে আমরা খুব খুশি।”
মহকুমাশসক শঙ্খ সাঁতরা বলেন,”বুধবার রাতে কুষ্ঠ কলোনীতে গিয়ে বাসিন্দাদের সমস্যাগুলি উপলব্ধি করেছি। কলোনীর বাসিন্দারা যাতে সব সুযোগ সুবিধা পান সেই উদ্দেশ্যে কলোনীটিকে আদর্শ গ্রাম রূপে গড়ে তোলার উদ্যোগ নিচ্ছি।”