অমরনাথ গিয়ে মৃত তীর্থযাত্রী শিবব্রত বসুর মৃতদেহ দুর্গাপুরে আনার বিষয়ে সরকারি সাহায্যের ব্যাপারে খোঁজ খবর নিতে বৃহস্পতিবার দুর্গাপুরের মহকুমা শাসক ডঃ শ্রীকান্থ পল্লীর সঙ্গে দেখা করলেন উৎকন্ঠিত শিবব্রত বসুর পরিজনেরা। বৃহস্পতিবার বিকেলে মৃত তীর্থযাত্রী শিবব্রত বসুর পরিজনদের সঙ্গে দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক প্রায় আধ ঘন্টা কথা বলেন। অমরনাথের পঞ্চতরনী বেস ক্যাম্পে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত শিবব্রত বসুর সঙ্গীদের সঙ্গেও মহকুমাশাসক ফোনে কথা বলেন।

শিবব্রতবাবুর ডেথ সার্টিফিকেট পাওয়ার বিষয়ে জটিলতা কাটাতে পঞ্চতরনীর সংশ্লিষ্ট চিকিৎসদের সঙ্গেও কথা বলেন এবং শুক্রবার শিবব্রত বসুর মৃতদেহ দুর্গাপুরের বাড়ি পর্যন্ত সম্পূর্ণ প্রশাসনিক দায়িত্বে পৌঁছে দিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত ব‍্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সেই বিষয়ে আশ্বস্ত করেন ‌মহকুমাশাসক ডঃ শ্রীকান্থ। দুর্গাপুরের মহকুমাশাসকের কাছ থেকে শিবব্রতবাবুর মৃতদেহ প্রশাসনিক ব‍্যবস্থায় ফেরানোর আশ্বাস পেয়ে মৃত শিবব্রতবাবুর পরিবার স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন।

মৃত শিবব্রত বসুর আত্মীয় অলোক কুমার ঘোষ বলেন, গত দু’দিন ধরে চরম উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে। কি ভাবে শিবব্রতবাবুর মৃতদেহ দুর্গাপুরে আনা হবে কিছুই জানতে পারছিলাম না। দুর্গাপুরের মহকুমাশাসকের দারস্থ হলে মহকুমাশাসক রাজ‍্য সরকার যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে সেই বিষয়টি আমাদের পরিষ্কার করে দেন। সরকারের ব‍্যবস্থাপনায় মৃতদেহ আনা হচ্ছে শুনে আমরা স্বস্তি পেলাম।

উল্লেখ্য, অমরনাথ দর্শন করে বাড়ি ফেরার পথে পঞ্চতরনী বেস ক্যাম্পে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে দুর্গাপুরের মায়া বাজারের শিবব্রত বসুর (৬০) মৃত্যু হয়। দুর্গাপুরের মায়া বাজার ও ফরিদপুর থেকে দশ জনের একটি দল ৩০ জুন অমরনাথ যাত্রা করেন। শিবব্রত বসু সেই দলেরই একজন সদস্য ছিলেন। বুধবার ভোর রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার পর তাঁর সহ পুন্যার্থীরা ফোনে দুর্গাপুরের মায়া বাজারের বাড়িতে শিবব্রত বসুর ছেলে অরিজিৎ বসুকে খবর দেন। শিবব্রত বাবুর মৃত্যুর খবরে শিবব্রত বাবুর পরিবারের সঙ্গে সঙ্গে গোটা মায়া বাজার এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

Like Us On Facebook