গুণীজনদের কাছ থেকে সৃজনশীল সংগীত ও নৃত্যের কলা কৌশল রপ্ত করতে কেউ এসেছেন হুগলী থেকে কেউ এসেছেন বর্ধমান থেকে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমির উদ্যোগে দুর্গাপুরের বিধান ভবনে ৮-১০ নভেম্বর তিনদিন ব্যাপি সংগীত ও নৃত্যের কর্মশালা শুরু হল মঙ্গলবার। সংগীতে প্রখ্যাত সংগীত শিল্পী নুপুরছন্দা ঘোষ ও নৃত্যে কোহিনুর সেন বরাট ছাত্র-ছাত্রীদের সংগীত ও নৃত্যের কলা কৌশল শেখাচ্ছেন। ছোট বড় সকলেই বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে তালিম নিচ্ছেন সংগীত ও নৃত্যের। বর্ধমান ছাড়াও বাঁকুড়া, মেদনিপুর ও হুগলী থেকে প্রচুর শিক্ষানবীশরা এসেছেন এই কর্মশালায় অংশ নিতে।
গুণীজনদের কাছ থেকে তালিম নেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে দুর্গাপুর মহকুমা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর, তাই এই সুযোগ হাতছাড়া করতে চাই নি – দুর্ব্বা চ্যাটার্জী
নৃত্যের শিক্ষানবীশ দুর্ব্বা চ্যাটার্জী, ইন্দ্রানী দাসরা বলেন প্রথাগত নৃত্য শিখেছি স্থানীয় শিক্ষকদের কাছ থেকে, কিন্তু বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে সৃজনশীল নৃত্য শেখার সেরকম সুযোগ পাই নি। গুণীজনদের কাছ থেকে তালিম নেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে দুর্গাপুর মহকুমা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর, তাই এই সুযোগ হাতছাড়া করতে চাই নি। তাদের কাছে তালিম নিয়ে খুব ভালো লাগছে। তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।
শিক্ষার শেষ নেই তাই গানের শিক্ষক মানস মুখার্জীও আজ ছাত্র হিসাবে গুণীজনদের কাছ থেকে আরও কিছু শিখতে হাজির হয়েছিলেন এই কর্মশালায়। তিনি বলেন,”আমি ছাত্র-ছাত্রীদের গান শেখাই, কিন্তু সৃজনশীল গানের বাড়তি অভিজ্ঞতা হলে ছাত্র-ছাত্রীদেরও বিশেষভাবে শেখাতে পারব সৃজনশীল গান। অতুল প্রসাদ, দ্বিজেন্দ্রগীতি প্রভৃতি নতুন ভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের শেখাতেই আমি এই কর্মশালায় যোগ দিয়েছি। খুব ভালো লাগছে। এই ধরণের কর্মশালা আরও হওয়া উচিৎ। এতে গ্রাম বাংলার ছাত্র-ছাত্রীরা উপকৃত হবে এবং গ্রাম বাংলার সংগীত ও নৃত্য আরও সমৃদ্ধ হবে।”