মধুমেহ রোগে আক্রান্ত নাগার্জুন বস্তি এলাকার বাসিন্দা হত দরিদ্র ছোট্ট রুমকি রাওকে দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক শঙ্খ সাঁতরা সুচিকিৎসার জন্য কলকাতার ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেল্থে পাঠাচ্ছেন বলে জানালেন রুমকির মা পারুল রাও। মঙ্গলবার ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেল্থ-এর শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. অপূর্ব ঘোষ চিকিৎসা শুরু করবেন বলে জানা গেছে। বর্তমানে রুমকি দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
২৩ নভেম্বর মহকুমাশাসক শঙ্খ সাঁতরা নিজে গিয়ে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করেন রুমকিকে। রুমকির মা পারুল রাও নিজের অসহায় অবস্থার কথা জানানোর পরই দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক রুমকির চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে। জানা গেছে, রুমকির বাবার কোন স্থায়ী কাজ নেই। মা আয়ার কাজ করতেন সে কাজ গেছে রুমকিকে চিকিৎসায় সময় দিতে গিয়ে। রুমকির দিদির বিয়ে হয়ে গেলেও দিদির স্বামী মারা যাওয়ায় সেই দিদিও মা-বাবার সঙ্গেই থাকে। অথচ রুমকিদের কোন বিপিএল কার্ড নেই। তাই রেশনের ২ টাকা কেজি চাল ডাল থেকেও বঞ্চিত রুমকিরা। স্বাভাবিক ভাবেই যে বাড়িতে নুন আনতে পান্তা ফুরায় সেই বাড়িতে ব্যয়বহুল রোগ হলে মানুষের যে দুরবস্থা হয় সেই দুরবস্থা এখন রুমকিদের। স্বাভাবিক ভাবেই মহকুমাশাসক রুমকির বাঁচার আকুল আবেদনে সাড়া দিয়ে ২৩ নভেম্বর দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিজে গিয়ে ভর্তি করে দেন এবং বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাও একই ভাবে রুমকির পাশে দাঁড়ায়। কিন্তু দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে রুমকির সুগার উত্তরোত্তর বাড়তে থাকায় সোমবার ফের রুমকির মা পারুলদেবী মহকুমা শাসকের শরণাপন্ন হলে মহকুমাশাসক শঙ্খ সাঁতরা রুমকিকে মঙ্গলবার সকালেই রেডক্রসের অ্যাম্বুলেন্সে কলকাতা পাঠাচ্ছেন বলে জানান রুমকির মা পারুল রাও।
এদিকে দুর্গাপুর নগর নিগম বিপিএল কার্ড না থাকা অসুস্থ রুমকির পরিবারকে চাল ডাল সাহায্য করার আশ্বাস দিলেও লাল ফিতের বাঁধনে সেই সাহায্যের আশ্বাসও এখন বিশ বাঁও জলে। সোমবারও প্রতিবেশী কাকলি গুহকে সঙ্গে নিয়ে রুমকির মা পারুল রাও অসুস্থ মেয়েকে মহকুমা হাসপাতালে রেখে দুর্গাপুর নগর নিগমে এসেও নিরাশ হয়ে চাল ডাল না পেয়ে খালি হাতে বাড়ি ফেরেন বলে জানান অসুস্থ রুমকির মা পারুল রাও।