বুধবার প্রবল বর্ষণে দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন জায়গা জলমগ্ন হল। এবছর বর্ষা মরসুমের সবথেকে বেশি বৃষ্টি হয় বুধবারই, সকাল থেকেই মেঘের মুখ ভার এক নাগাড়ে বৃষ্টি, সঙ্গে প্রবল বজ্রপাত হয়। এর ফলে শিল্পাঞ্চালের বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। নিকাশি নালা ঠিকমত পরিষ্কার না হওয়ায় নোংরা আর্বজনায় নালার মুখ বন্ধ থাকায় জল বের হতে না পেরে রাস্তার উপর দিয়ে বইতে থাকে। এক সময় নালা ও রাস্তায় জল জমে পুকুরের রূপ নেয় ফলে রাস্তা বোঝা দায় হয়ে পড়ে পথ চলতি মানুষের। এদিন দুর্গাপুরের ২ নং জাতীয় সড়কেও রাস্তা সম্প্রসারনের কাজ চলায় জল জমে যানজট সৃস্টি হয়। দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টির জল জমে প্লাবিত হয়। সংস্কারের অভাবে ভাঙাচোরা রাস্তায় বর্ষার জল জমে পথ চলতি মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েন। বেনাচিতির শ্রীনগর পল্লী, বিদ্যাসাগরপল্লী, ভিড়িঙ্গী চাষিপাড়া, দুর্গাপুর স্টেশন সংলগ্ন বাঁকুড়া মোড় সহ মেনগেটের বিভিন্ন নিচু এলাকাও এদিন প্রবল বর্ষণে প্লাবিত হয়।
বুধবারের বৃষ্টিতে দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের সব চেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে ১৩, ১৭, ১৯ ও ২০ নং ওয়ার্ডে। ২০ নং ওয়ার্ডের নালার জল ১৭টি বাড়িতে ঢুকে যায়। স্টিল টাউনশিপের নির্গত নালার জল গত কয়েক বছরে ২০ নং ওয়ার্ড শ্রীনগর পল্লী ও বিদ্যাসাগর পল্লীর বাসিন্দাদের বাড়িতে ঢুকে যাওয়া আটকাতে পারেনি দুর্গাপুর পৌরসভা। স্বাভাবিকভাবেই দুর্গাপুর পৌর সভার নিকাশি নালা সংস্কার না করার অভিযোগই করছেন প্লাবিত এলাকার বিপন্ন মানুষজন। সিপিএম নেতা পঙ্কজ রায় সরকার বলেন, ‘তৃণমুল কংগ্রেস পরিচালিত দুর্গাপুর পৌরসভা মানুষের জন্য গত পাঁচ বছরে যে কত কাজ করেছে এক দিনের বর্ষার জলে বিভিন্ন এলাকা ভাসছে ও মানুষ চরম দূর্ভোগে পড়েছে এটা তাদের ব্যর্থতাকেই প্রমাণ করে।’ আসন্ন পৌরভোটে সিপিএম সহ বিরোধীদের এই এক দিনের টানা বর্ষার জলে দুর্গাপুরের বিভিন্ন জায়গা ভেসে যাওয়ার চিত্র যে বাড়তি অক্সিজেন দেবে সেই বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই।