দামোদর ও তার শাখা নদী মুন্ডেশ্বরীর বাঁধ ভাঙ্গায় জলে প্লাবিত জামালপুরের জ্যোৎসীরাম পঞ্চায়েতের প্রায় ১৬টি গ্রাম। তারমধ্যে অমরপুর, উত্তর ও দক্ষিণ শিয়ালি ও ফতেপুরের সঙ্গে পুরোপুরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ত্রাণ পৌছানো যায়নি এই গ্রামগুলিতে। পানীয় জল ও খাবারের সঙ্কটে পড়েছে এই গ্রামগুলিতে আটকে থাকা বাসিন্দাদের। জেলাপ্রশাসনের তরফ থেকে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীদের দিয়ে ত্রাণ পৌছানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। শুক্রবার সকালে এনডিআরএফের দল এসে পৌঁছানোর পর তাদের ৩টি দলে ভাগ করে জামালপুর ও রায়না-২ পাঠানো হয়েছে।
পূর্ব বর্ধমান জেলার বন্যা কবলিত চাষের এলাকার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে ধান বীজ দেবার ঘোষণা করা হল। শুক্রবার রায়না-২এর বড়বৈনান সহ বন্যা কবলিত প্রায় ১৫ কিমি এলাকা সরজমিনে দেখে আসার পর একথা জানান জেলা পরিষদের সভাধিপতি দেবু টুডু। এদিন বন্যা কবলিত এলাকায় গিয়ে নিজেই একবুক জলে নেমে দুর্গতদের কাছে ত্রাণ পৌঁছানোর ব্যবস্থা করেন। সভাধিপতি জানান, পূর্ব বর্ধমান জেলায় যে সমস্ত আমন ধান চাষের জমি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সেগুলি নিয়ে কৃষি দপ্তর তথ্য সংগ্রহ করছে। সেই তথ্য পাবার পর এবং সংশ্লিষ্ট চাষী আবেদন করলেই তাকে বিনামূল্যে আমন বীজ দেওয়া হবে। তিনি জানান, আমন বীজ পর্যাপ্ত পরিমাণেই মজুদ রয়েছে তাঁদের। উল্লেখ্য,সভাধিপতি এদিন জানান,রায়না-২ ব্লকে বৃহস্পতিবার থেকেই ১২টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছিল। এদিন তিনি বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখার সময় বন্যার্তদের আবেদনে আরও একটি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে বড়বৈনান অঞ্চলে। উল্লেখ্য, শুক্রবার ডিভিসি আরও একধাপ জল ছাড়ার পরিমাণ কমিয়েছে। এদিন বিকাল ৪টে পর্যন্ত জল ছাড়া হয়েছে ১ লক্ষ ৫৩ হাজার ১০০ কিউসেক হারে।