দুর্গাপুর ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত লেগ স্পিনার প্রয়াস রায় বর্মণ দেড় কোটি টাকার চুক্তিতে এবছর আইপিএল টিম রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে খেলার সুযোগ পেল। দুর্গাপুরের রোহন বন্দ্যোপাধ্যায়, সায়ন মণ্ডলরা যখন আইপিএলে খেলার জন্য কেবলমাত্র সুযোগের অপেক্ষায় তখন প্রয়াসের আইপিএলে খেলার সুযোগ নিঃসন্দেহে দুর্গাপুরবাসীর কাছে গর্বের বিষয় সেকথা বলার অপেক্ষা রাখে না।
প্রয়াস রায় বর্মণ দুর্গাপুরের বিধান নগরের বাসিন্দা। বছর পনেরোর প্রয়াস বর্তমানে কলকাতার দমদমে থাকে। বাবা-মা দুজনেই পেশায় চিকিৎসক। তাঁরা দিল্লিতে থাকেন। প্রয়াস বয়স ভিত্তিক বাংলা দলে খেলার পাশাপাশি এবছর বিজয় হাজারে ট্রফিতে ৯ ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়েছে প্রয়াস। সেইসঙ্গে ব্যাটের হাতো ভালই। এতেই নজরে পড়ে যায় আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি দলগুলোর।
বাংলা জুনিয়র দলে গত এক বছরের উল্লেখযোগ্য সাফল্য প্রয়াসকে ক্রিকেট নির্বাচকদের নজরে এনে দেয় বলে জানান দুর্গাপুর ক্রিকেট অ্যাকাডেমির প্রশিক্ষক তথা প্রয়াসের ক্রিকেট গুরু শিবনাথ সিং। শিবনাথ সিং বলেন, ‘প্রয়াসের সাফল্যের পিছনে ওর বাবার অবদান অনেক। ছোট থেকেই ছেলেকে ক্রিকেটের হাতি খড়ি ওর বাবাই দেন। প্রয়াসকে একজন সফল লেগ স্পিনার হিসেবে দেখার স্বপ্ন দেখেছিলেন ওর বাবা। প্রয়াস আজ আরসিবিতে খেলার সুযোগ পেয়েছে। এর সব কৃতিত্ব ওর বাবার।’ প্রয়াসের ক্রিকেট গুরু শিবনাথ সিং বলেন, ‘দু’বছর আমাদের অ্যাকাডেমিতে আমার কাছে প্রয়াস কঠোর পরিশ্রম করে প্রশিক্ষণ নিয়েছে। এরপর কলকাতায় বাংলা জুনিয়র দলে খেলার সুযোগ পায়। গত একবছর ধরে প্রয়াসের পারফরমেন্স ফ্র্যাঞ্চাইজি দলগুলোর নাজর কাড়ে। লেগস্পিনার প্রয়াস ভালো ব্যাটিংও করে। আজ আমি খুব খুশি কিন্তু প্রয়াস যেদিন জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পাবে সেদিন আরও খুশি হব।’
এদিকে ৬ ফুট ১ ইঞ্চির প্রয়াসকে ভারতীয় ক্রিকেটে অনেকেই পরবর্তী কুম্বলে বলে মনে করছেন। আদর্শ শেন ওয়ার্ন হলেও কুম্বলের মতই কিছুটা দ্রুত আর নিখুঁত লাইন-লেংথ ধরে রাখতেই বেশি পছন্দ করে প্রয়াস। তাই তার বোলিংয়ে কুম্বলেকে মনে পড়েছে অনেকের। প্রয়াস রায় বর্মণ ফোনে জানায়, ‘আমি এতদিন বিরাট কোহলির দলে খেলার স্বপ্ন দেখতাম, আজ তাঁর সঙ্গে ড্রেসিংরুম শেয়ার করব এটা ভেবেই দারুণ লাগছে।’