করোনা আবহ। তাই রাজ্য সরকারের দেওয়া স্বাস্থ্য বিধিকে কঠোর ভাবে মান্যতা দিয়ে দুর্গাপুরের অন্যতম অভিজাত পুজো অগ্রণী সাংস্কৃতিক পরিষদ এবার দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি শুরু করেছে। অগ্রণী সাংস্কৃতিক পরিষদের এবারের পুজো ৫৩ বছরে পদার্পণ করল। করোনা আবহের কথায় মাথায় রেখেই এবার অগ্রণী সাংস্কৃতিক পরিষদের পুজো উদ্যোক্তারা পুজোর খুঁটি পুজো থেকে পুজোর মন্ডপ, থিম এবং সামাজিকতা সব কিছুতেই কোভিড প্রসঙ্গকে প্রাধান্য দিয়েই পুজো করার সিদ্ধান্ত নেন। এবার অগ্রণী সাংস্কৃতিক পরিষদের পুজোর থিম তাই ‘দুর্যোগে দুর্যোগময়ী’। থিম এর সঙ্গে হচ্ছে সামঞ্জস্যপূর্ণ মন্ডপ। অন্যবারের মতোই মেদিনীপুরের শিল্পীরাই মণ্ডপসজ্জার দায়ীত্বে আছেন। রড ফাইবার দিয়ে মন্ডপ তৈরির কাজ চলছে। মন্ডপের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ আলোকসজ্জা করা হচ্ছে। দুর্গাপুরের বিশিষ্ট মৃৎশিল্পী অরুণ পালের হাতে তৈরি মৃন্ময়ী দেবী দুর্গা মন্ডপে পূজিত হবেন।

জানা গেছে, এবার পুজোয় আড়ম্বর বেশি না থাকলেও একেবারে অনাড়ম্বরও হচ্ছে না অগ্রণী সাংস্কৃতিক পরিষদের দুর্গোৎসব। এবারের পুজোর বাজেট ১২ লক্ষ টাকা। অন্যবারের মতো দর্শকদের আকৃষ্ট করতে পুজো মন্ডপকে সুন্দর করে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে তবে সবই স্বাস্থ্যবিধিকে কঠোর ভাবে মান্যতা দিয়েই করা হবে বলে জানান অগ্রণী সাংস্কৃতিক পরিষদের পুজো কমিটির উদ্যোক্তা কল্যাণ নায়েক। কল্যাণ নায়েক জানান, পুজো মণ্ডপে ঢোকার আগে প্রবেশদ্বারে আগত দর্শনার্থীদের শরীর জীবাণুমুক্ত করতে থাকবে ডিসইনফেকশন মেশিন। দর্শনার্থীদের মুখে মাস্ক ব্যবহার ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে চলাচলের জন্য পুজো কমিটির সদস্যরা প্রচুর স্বেচ্ছাসেবী রাখছেন মন্ডপ এলাকায়। স্বেচ্ছাসেবীরা দর্শনার্থীদের উপর কড়া নজর রাখবেন যাতে সকলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন। এবং সকল দর্শনার্থীদের হাতে স্যানিটাইজার এবং মুখে মাস্ক তুলে দেওয়া হবে সঙ্গে চলবে সংক্রমণ ঠেকাতে সতর্কতা প্রচারের মাইকিং। কল্যাণবাবু বলেন, ‘পুজোর বাজেট এর বড় একটা অংশ এবার সামাজিক কল্যাণে খরচ করা হবে। করোনা আবহে দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়াতে পুজোর চারদিন আমরা বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচি নিচ্ছি।

 

Like Us On Facebook