দুর্গোৎসবের কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। দুর্গাপুরের বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে এখন শেষ পর্যায়ের মণ্ডপ সজ্জার কাজ চলছে পুরোদমে। দুর্গাপুরের অন্যতম বড় পুজো ফুলঝোড় সার্বজনীন দুর্গাপুজো এবার ২৮ বছরে পদার্পণ করল। ফুলঝোড় সার্বজনীন পুজা কমিটি প্রতি বছরই নতুন থিম সৃষ্টি করে মণ্ডপকে সেরার দৌড়ে এগিয়ে রাখে। এবছর ফুলঝোড় সার্বজনীন পুজা কমিটি ‘বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য’ থিমে মণ্ডপ সজ্জা করছে। ভারতবর্ষের বিভিন্ন রাজ্যের আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র ও সংস্কৃতি এবার পুজো মণ্ডপে তুলে ধরছে ফুলঝোড় সার্বজনীন দুর্গাপুজা কমিটি।
কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী এবং দিল্লি, রাজস্থান, গুজরাটের পর্যটন কেন্দ্র ও সেই রাজ্যের বিভিন্ন সংস্কৃতি যেমন মণ্ডপে তুলে ধরা হবে তেমনই পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া ব্রিজ, দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দিরের সঙ্গে দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্ট, দামোদর ব্যারেজ সহ রাজ্যের বিভিন্ন দ্রষ্টব্য স্থানের দেখা মিলবে ফুলঝোড়ের পুজো মণ্ডপে। জানা গেছে, পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির শিল্পী গোপাল আচার্য ৬২ জন সহ-শিল্পী নিয়ে থার্মোকল, প্লাইউড, চট, প্লাস্টার অফ প্যারিস দিয়ে বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য থিমকে তুলে ধরছেন মণ্ডপে। সঙ্গে থাকছে মানানসই দুর্গা প্রতিমা ও আলোকসজ্জা।
পুজো কমিটির সম্পাদক শ্যামল রায় বলেন, ‘প্রতিবছরের মতো এবারও আমাদের পুজো মণ্ডপে নতুনত্ব থাকছে। এবার আমরা একদম কম বাজেটে ‘বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য’ থিমকে তুলে ধরছি পুজো মণ্ডপে। গতবার আমাদের বাজেট ছিল ৩০ লাখ। আর্থিক মন্দার কারণে এবার আমরা বাজেট কাটছাঁট করে মাত্র ১৯ লাখ টাকার মধ্যে পুজো করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এবারও দর্শকদের নজর কাড়বে আমাদের পুজো। দর্শকরা সপরিবারে একবার আমাদের মণ্ডপে প্রবেশ করলে মাতৃ দর্শনের সঙ্গে সঙ্গে মিনি ভারতবর্ষ দেখার সুযোগ মিলবে।’