অধ্যাপকের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নকল করে বা হ্যাক করে মেসেঞ্জারে অর্থ সাহায্য চাওয়ায় চরম দুশ্চিন্তায় কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের প্রধান। রবিবার রাত এই ঘটনা জানতে পারার পর থেকেই রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে অধ্যাপকের। চরম বিড়ম্বনায় অধ্যাপকের পরিবার। সোমবারেও লাগাতার ফোন আসছে বিভিন্ন পরিচিতের কাছ থেকে। সকলের একটাই প্রশ্ন, ‘কি এমন হয়েছে ফেসবুক মেসেঞ্জারে অর্থ সাহায্য চাইছেন? অ্যাকাউন্ট নম্বর দিন টাকা পাঠাচ্ছি’। তিনি বারবার সকলকে জানাচ্ছেন, তাঁর অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে অথবা ফেক অ্যাকাউন্ট বানিয়ে কেউ এই দুষ্কর্ম করছে।
গোপালপুর উত্তর পাড়ার বাসিন্দা কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডঃ প্রদীপ কুমার দাস রবিবার রাত সাড়ে নয়টা নাগাদ এক ছাত্রের ফোন পান। সেই ছাত্র বলে, ‘আপনি ম্যাসেঞ্জারে ৫ হাজার টাকা চেয়েছেন আপনার খুব প্রয়োজন। আপনি স্যার অ্যাকাউন্ট নম্বর দিন আমি টাকা পাঠাচ্ছি।’ ছাত্রের এই কথায় প্রথমে অবাক হয়ে যান প্রদীপবাবু। তিনি ছাত্রকে বলেন, ‘আমি কোন টাকা চাইনি।’ এরপর প্রদীপবাবু তাঁর ছাত্রের কাছ থেকে ব্যাপারটি জানতে চান। ছাত্রটি ফোনের স্ক্রিন শট পাঠিয়ে দেন। এরপরে রবিবার রাতেই ৩০ টির বেশি ফোন আসে। সব ফোনের অন্যপ্রান্ত থেকে সকলের একই প্রশ্ন। যারা প্রদীপবাবুর ফেসবুক বন্ধু রয়েছেন তাঁরা সবাই ফোন করে চলেছেন। সোমাবারেও ফোন আসার বিরাম নেই।
অধ্যাপক প্রদীপ কুমার দাস বলেন, ‘তিনি রবিবার রাতেই কাঁকসা থানায় ফোন করেন এবং তাঁদের কথা মতো আজ সকালে কাঁকসা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।’ অধ্যাপক জানান, কাঁকসা থানার নির্দেশ মতো তিনি এখন দুর্গাপুর থানার ক্রাইম ব্রাঞ্চের সাইবার বিভাগে অভিযোগ দায়ের করবেন। প্রদীপবাবু বলেন, ‘এই ঘটনা তাঁর সম্মানকে মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে, আশা করি পুলিশ গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি দেখবেন এবং অপরাধীকে গ্রেফতার করে তাঁকে এই চরম বিড়ম্বনার হাত থেকে মুক্তি দেবেন।’