কাটমানির টাকা ফেরত দিতে হবে ও রাতারাতি বড়লোক হওয়া তৃণমূল নেতাদের টাকার হিসাব দিতে হবে এই দাবি সম্মিলিত ব্যানারকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে। শুক্রবার সকালে জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতি ও জামালপুর বিডিও অফিসের রাস্তার সামনে ইলেকট্রিক পোলে দেখতে পাওয়া যায় এই ব্যানার। যদিও কারা এই ব্যানার লাগিয়েছে তার কোনো দায় স্বীকার করা হয়নি। আর এই ব্যানারকে ঘিরেই শুরু হয়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্য।
উল্লেখ্য, এদিনই বর্ধমানে সিপিএমের পার্টি অফিসে সাংবাদিক বৈঠকে সিপিএমের জেলা সম্পাদক মহম্মদ সেলিম নভেম্বর মাস জুড়ে সমস্ত পঞ্চায়েতে পঞ্চায়েতে সরকারি টাকার হিসাব চাওয়ার কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছেন। আর এদিনই জামালপুরে প্রায় একই দাবিতে এই ব্যানারকে ঘিরে শুরু হয়েছে তোলপাড়। লাল ও হলুদ ব্যানারে লেখা রয়েছে, চোর তৃণমূলের নেতাদের কাছে সাধারণ মানুষের দাবি – প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার উপভোক্তাদের বাড়ি তৈরি করার জন্য পাওয়া টাকা থেকে নেওয়া কাটমানি অবিলম্বে ফেরত দিতে হবে। ১০০ দিনের বকেয়া মজুরী অবিলম্বে দিতে হবে ও কাজ চালু করতে হবে। রাতারাতি বড়লোক হওয়া তৃণমূলের নেতাদের সাধারণ মানুষের কাছে টাকার হিসেব দিতে হবে। সাধারণ মানুষের কাছে সরকারি কাজের সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার নামে যে কাটমানি নেওয়া হয়ে তা ফেরত দিতে হবে।
এদিকে, এই ব্যানার সম্পর্কে এদিন বিজেপির বর্ধমান জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, কে বা কারা এই ব্যানার লাগিয়েছে তা জানি না। তবে ব্যানারের দাবিগুলো সাধারণ মানুষেরই দাবি। ১১ বছর ধরে সাধারণ মানুষের উপর তৃণমূলের নেতারা যে ধরণের অত্যাচার করেছে এটা তাদের কাছে একটা সাবধানবাণী। অপরদিকে, এব্যাপারে জেলা তৃণমুল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিত দাস জানিয়েছেন, রাতের অন্ধকারে সিপিএম ও বিজেপি যোগসাজস করে এটা করেছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন যত এগিয়ে আসবে তত রাতের অন্ধকারেই পোস্টার মারবে ওরা। কারণ দিনের আলোতে ঘোরার মত লোক ওদের সঙ্গে নেই।