নির্বাচন পরবর্তী সংঘর্ষে উত্তপ্ত হল দুর্গাপুরের আশীষ নগর ও বিদ্যাসাগর পল্লী এলাকা। অভিযোগ, লোকসভা ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের সিম্বলে যথেষ্ট ভোট পড়েনি এই আতঙ্কে আতঙ্কিত স্থানীয় ৩৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শশাঙ্ক শেখর মন্ডল ও তাঁর দুই ভাই বেশ কয়েকজন অনুগামীকে নিয়ে আশীষ নগর ও বিদ্যাসাগর পল্লী এলাকায় বাড়ি বাড়ি ঢুকে নিজের কিছু দলীয় কর্মী সহ বিরোধী দলের কর্মীদের ব্যাপক মারধর করে। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়ে দুর্গাপুরের মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনার পর ক্ষুব্ধ আশীষ নগর ও বিদ্যাসাগর পল্লী এলাকার স্থানীয় মানুষ রাজনৈতিক রঙ সরিয়ে একজোট হয়ে অভিযুক্ত কাউন্সিলর শশাঙ্ক শেখর মন্ডলের বাড়িতে চড়াও হয়। বাড়ি ভাঙচুর করে বলে জানা গেছে। বেগতিক বুঝে কাউন্সিলর শশাঙ্ক শেখর মন্ডল এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয়। স্থানীয় কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে এলাকার মানুষের গুচ্ছ গুচ্ছ অভিযোগে গোটা আশীষ নগর এদিন উতপ্ত হয়ে ওঠে।
বৃহস্পতিবার সকালে উত্তপ্ত পরিস্থিতি সামলাতে আশীষ নগর ও বিদ্যাসাগর পল্লীতে পুলিশ এলে স্থানীয় মানুষ পুলিশকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখায়। স্থানীয় মানুষ কাউন্সিলরের পদত্যাগ দাবি করে ফের দুর্গাপুর পুরসভার এই ৩৯ নং ওয়ার্ডে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানান। জেলার তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব এই ঘটনার পিছনে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে দাবি করেছে। তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, এই ঘটনায় আশীষ নগর ও বিদ্যাসাগর পল্লীতে স্থানীয় বিজেপি ও সিপিএম কর্মীরা একজোট হয়ে তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর শশাঙ্ক শেখর মন্ডলের উপর চড়াও হয়। তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের মারধর করে এবং তৃণমূল কংগ্রেস দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করে। দুর্গাপুরের সিপিএম ও বিজেপি নেতৃত্ব তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। উত্তপ্ত আশীষ নগর ও বিদ্যাসাগর পল্লী এলাকার অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান দুর্গাপুরের তৃণমূল নেতা তথা জেলা কার্যকরী সভাপতি উত্তম মুখার্জী।