দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার কর্মী জেমস থমাসের রহস্য মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের আধিকারিকরা মঙ্গলবার তৎপরতা শুরু করল। সোমবার রাতেই পুলিশ আধিকারিকরা জেমস থমাসের স্ত্রী ও বড় মেয়ে আনুষাকে জেমস থমাসের মৃত্যু রহস্য উন্মোচনের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে যায় বলে জানা গেছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এখনও পর্যন্ত পুলিশ হাতে না পেলেও মঙ্গলবার থেকেই পুলিশের তৎপরতায় জেমস থমাসের পড়শী ও বন্ধুদের আশা খুব শীঘ্রই জেমস থমাসের মৃত্যু রহস্য উন্মোচন হবে।
সোমবার ডিএসপি কর্মী জেমস থমাসের মৃতদেহ স্টিল টাউনশিপের দয়ানন্দ রোডের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে কারখানার সহ কর্মীরা ডিএসপি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জেমসের মৃত্যু যে স্বাভাবিক ভাবে হয়নি সেকথা বলে পুলিশে খবর দেন। জেমসের সহকর্মী জয়ন্ত রক্ষিতের অভিযোগ জেমস থমাস স্ত্রী ও বড় মেয়ের অত্যাচারে মানসিক অবসাদে ভুগতেন। জেমস থমাসের স্ত্রী ফেসবুকের মাধ্যমে অন্য এক পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন বলে জেমস থমাস একবার জানায় তাঁদের। এই ঘটনায় জেমস খুব মানসিক অবসাদে ভুগতেন। এই নিয়ে বাড়িতে অশান্তি চরমে যখন পৌঁছয় তখন জেমস তাঁর স্ত্রীকে একবার বাপের বাড়িতে রেখে আসেন। পরে সব মিটমাট হয়ে গেলে ফের সম্পর্ক জুড়ে যায়।
জয়ন্তবাবু আরও বলেন, জেমসের মর্মান্তিক মৃত্যু ঠিক কী কারণে হয়েছে তা এখন তদন্ত-সাপেক্ষ। পুলিশ তদন্ত করে দেখছে। জয়ন্তবাবু বলেন, জেমস সুইসাইড নোটে নির্দিষ্ট করে স্ত্রী ও বড় মেয়ের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ জানিয়েছেন। এবং মৃত্যুর পর শেষকৃত্যে যাতে এনারা কবরে মাটি না দেয় তার নির্দেশও দিয়েছেন। এর থেকেই বোঝা যায় কতটা মানসিক কষ্টে ছিলেন তিনি। জয়ন্তবাবু বলেন, জেমসের ঘাড়ে সন্দেহজনক চিহ্নও পাওয়া গেছে এইসব বিষয় গুলি আমাদের কাছে রহস্যময় লেগেছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করে আসল দোষীদের শাস্তি দিক। এদিকে পুলিশ যখন মঙ্গলবার জেমসের স্ত্রী ও বড় মেয়েকে জেমসের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে নিয়ে আসে, তখন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে জেমসের স্ত্রী শার্লি কান্নায় ভেঙে পড়েন।