বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে বন্ধ করে দেওয়া হল দুর্গাপুরের কল্পতরু মেলা। করোনা বিধি অনুযায়ী জমায়েত করা নিষিদ্ধ। অথচ কল্পতরু মেলাতে প্রতিদিন দেখা যাচ্ছিল উপচে পড়া ভিড়। করোনা বিধি শিকেয় তুলে মেলার ভিতর মুখে মাস্ক ছাড়াই ঘুরছিলেন দর্শকরা, ছিল না সামাজিক দুরত্বের বালাই। এই নিয়ে রাজনৈতিক তরজা চলছিল গত কয়েকদিন ধরেই। এরই মধ্যে দুর্গাপুর পুরসভার মেয়র অনিন্দিতা মুখার্জী সহ দুর্গাপুর পুরসভার ডেপুটি মেয়র, মেয়র পারিষদরা কল্পতরু মেলাতে মেলার হালহকিকত দেখে করোনা বিধি অনুযায়ী মেলা চলছে বলে সার্টিফিকেট দিয়ে যান। এবং মেলায় অংশগ্রহণকারী ব্যবসায়ীদের পক্ষে সওয়াল করে জানিয়েছিলেন, বহুদূর থেকে মেলায় দোকানদাররা এসেছেন ব্যবসা করতে। গরীব মানুষ ওরা। ওদের কথা মাথায় রেখে মেলা বেলা ১২ থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত চলবে।’ এরপর আরও জোরকদমে রাজনৈতিক চর্চা শুরু হয়। কিভাবে দুর্গাপুর পুরসভা করোনা বিধি ভেঙে মেলা চলার পক্ষে সওয়াল করে সেই নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়।
বুধবার বিকেলে সব বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের দুর্গাপুরের ডিসিপি অভিষেক গুপ্তা এবং মহকুমাশাসক শেখর চৌধুরীর নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে কল্পতরু মেলা বন্ধ করে দেয়। পুলিশ মাইকিং করে মেলার দর্শনার্থীদের বাড়ি চলে যেতে অনুরোধ করেন। দ্রুত মেলা প্রাঙ্গণ খালি হয়ে যায়। এই ঘটনায় মেলার ব্যবসায়ীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁদের দাবি এইভাবে মেলা বন্ধ করে দেওয়ার ফলে আমরা বড়রকম লোকসানের মুখে পড়লাম। আগে জানলে মেলায় দোকান দিতে আসতাম না। মেলা কমিটির দিকে আঙুল তুলে মেলায় অংশ নেওয়া ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, মেলা কমিটি আগেই মোটা অংকের টাকা নিয়ে নিয়েছে, আমরা সেই টাকা ফেরত পেতে চাই। এদিকে মেলার দোকানদারদের মত মেলায় আসা দর্শনার্থীরাও ক্ষুব্ধ, হঠাৎ মেলা বন্ধ করে দেওয়ায়। মেলা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুর্গাপুরের সচেতন মানুষ খুশির কথা জানান।