হীরে ব্যবসায়ী নীরব মোদী ও মেহুল চোকসির বিভিন্ন সংস্থার বিরুদ্ধে পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কে দুর্নীতি করার দায়ে দেশ জুড়ে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) অভিযান চলছে। শুক্রবার রাতে দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের সুহট্ট মলের ‘গীতাঞ্জলি জুয়েলস’ শোরুমে ইডি হানা দেয়।

জানা গেছে, শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ সুহট্ট মলের গীতাঞ্জলি জুয়েলস শোরুমে ইডির ছয় সদস্যের একটি টিম নোটিশ লাগিয়ে শোরুমটি সিল করে দেয়। নোটিশে জানিয়ে দেওয়া হয় শোরুম কর্তৃপক্ষ এবং ইডির আধকারিকদের উপস্থিতিতেই শোরুম খোলা যাবে। শনিবার সেইমত শোরুম কর্তৃপক্ষ ও কর্মীরা সুহট্ট মলের গীতাঞ্জলি শোরুমে চলে এলে ইডি আধিকারিকরা শোরুমের মালিক ও কর্মচারীদের বেশ কিছু কাগজ পত্রে সই করিয়ে শোরুমের তল্লাশি শুরু করে।

এদিকে টানা ছয় ঘন্টা গীতাঞ্জলিতে তল্লাশির পর সন্ধ্যা নাগাদ শোরুম ছেড়ে চলে যায় ইডি আধিকারিকরা। তল্লাশির পর ইডি আধিকারিকরা সংবাদ মাধ্যমের কাছে তল্লাশি নিয়ে মুখ খোলেননি। ইডি আধিকারিকরা কেবল বলেন আজকের তল্লাশি নিয়ে রিপোর্ট উচ্চ মহলে পাঠানো হবে। জানা গেছে, তদন্তের স্বার্থে ইডি আধিকারিকরা কিছু নথি নিয়ে গেছে। দুর্গাপুরের গীতাঞ্জলি জুয়েলসের কণ্নধার রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, শোরুমে তল্লাশি চালিয়ে ইডি আধিকারিকরা কিছু অনিয়ম পাননি। আমাদের কাছে কোম্পানির কোন বকেয়া নেই। উল্টে আমরাই ৩০ লক্ষ টাকা পাব কোম্পানির কাছে। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় শোরুমে ইডি তল্লাশি নিয়ে ক্রেতাদের কাছে কোন বিরুপ প্রভাব পড়বে না বলে দাবি জানান। শনিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দুর্গাপুরের এই হীরের শোরুমে ইডি আধিকারিকরা কড়া পুলিশি প্রহরায় তল্লাশি চালানোয় দুর্গাপুর শহরে ব্যবসায়ি মহলে চাঞ্চল্য ছড়ায়।

উল্লেখ্য, পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কে প্রায় ১১,৩০০ কোটি টাকার প্রতারণায় অভিযুক্ত ধনকুবের হিরে ব্যবসায়ী নীরব মোদি, তাঁর স্ত্রী অমি, ভাই নীশল ও মামা মেহুল চকসি। অভিযুক্তরা দেশ ছেড়ে চলে গেছেন বলে জানা গেছে। দেশ জুড়ে সিবিআই ও ইডি তল্লাশি চালাচ্ছে নীরব ও মেহুলের বিভিন্ন সংস্থায়। শনিবার এই ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের তৎকালীন ডেপুটি ম্যানেজার গোকুলনাথ শেট্টি। তিনি এখন অবসর নিয়েছেন। শনিবার তাঁকে মুম্বই থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে পিএনবি-র আরও দুই কর্মীকে। তাঁরা হলেন মনোজ কারাট এবং হেমন্ত ভট্ট।


Like Us On Facebook