জনস্বাস্থ্য ও কারীগরি দফতরের দেওয়া হাজার হাজার পানীয় জলের পাউচ কেন রাস্তায় পড়ে গড়াগড়ি খাচ্ছে, দুর্গাপুর মহকুমা প্রশাসন তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ দিলেন মঙ্গলবার। দুর্গাপুরের মহাকুমাশাসক অর্ঘপ্রসূন কাজী বলেন, ‘যে বা যারা এটা করেছেন তা খুব অন্যায় করেছেন। বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

জানা গেছে, দুর্গাপুর পুরসভার মেয়র দিলীপ অগস্থি থেকে জেলা প্রশাসনের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারাও এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। উল্লেখ্য, দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের চতুরঙ্গ ময়দানের পাশে ‌নন কোম্পানি হাউসিং কার্যালয় চত্ত্বরে রাজ্য জনস্বাস্থ্য ও কারীগরি দফতরের ছাপ দেওয়া হাজার হাজার পানীয় জলের পাউচ পড়ে রয়েছে। তাই দেখে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়।

স্থানীয় মানুষ ও প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এইসব পানীয় জলের পাউচগুলি রাজ্য সরকারের জনস্বাস্থ্য ও কারীগরি দফতরের দেওয়া পানীয় জলের পাউচ। দামোদর ব্যারেজের লকগেট বিপর্যয়ের সময় পানীয় জলের অভাব দেখা দিলে দুর্গাপুরের মানুষের তৃষ্ণা মেটাতে পিএইচই দফতর থেকে স্বয়ংক্রিয় মেশিনে পাঁচ লাখ পানীয় জলের পাউচ সরবরাহ করা হয় দুর্গাপুরের বিভিন্ন এলাকায়। সেই সময় সিটি সেন্টারের নন কোম্পানি হাউসিং কার্যালয়ের কর্মকর্তারা এই পানীয় জলের পাউচ নন কোম্পানি হাউসিং এলাকাতে পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে। কিন্তু এলাকার মানুষকে তা আর নাকি সরবরাহ করা হয়নি বলে অভিযোগ। উল্টে পানীয় জলের পাউচগুলি নন কোম্পানি হাউসিং কার্যালয়ের চত্ত্বরে স্টোর করে রাখা হয়। এবং পরবর্তী সময়ে দামোদর ব্যারেজের লকগেট মেরামতির কাজ সম্পন্ন হয়ে গেলে দুর্গাপুরে পানীয় জলের হাহাকার মিটে যায়। এরপর দীর্ঘসময় পরে তা নন কোম্পানি হাউসিং কার্যালয়ের চত্ত্বরে ফেলে দেওয়া হয়। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকে নিন্দার ঝড় ওঠে এবং দুর্গাপুর জুড়ে ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। যদিও এই বিষয়ে নন কোম্পানি হাউসিং কার্যালয়ের কর্মকর্তারা বিষয়টি জানি না বলেই কার্যত দায় সেরেছেন।

Like Us On Facebook