তৃণমূল–বিজেপি সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়ালো পূর্ব বর্ধমানের রায়না থানার নতুগ্রাম এলাকায়। দুপক্ষের সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। পুলিশ সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগ ৯ জন বিজেপি সমর্থককে গ্রেফতার করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। ধৃতদের বাড়ি নতু গ্রাম পঞ্চায়েতের কুটিপাড়ায়।
তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় নেতা সঞ্জয় সাঁতরার অভিযোগ, শনিবার রাতে গ্রামের রাস্তা দিয়ে বাড়ি ফেরার সময় আচমকাই বিজেপির একদল সমর্থক তাঁর ওপর হামলা চালায়। তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। কোনোরকমে তিনি পালিয়ে বাঁচেন। এরপর বিজেপি সমর্থকরা নতু বাসস্ট্যাণ্ডে গিয়ে তৃণমূল পার্টি অফিসে হামলা চালায়। সেই সময় পার্টি অফিসের সামনে কয়েকজন বসেছিলেন। তাঁদের বেধড়ক মারধর করা হয়। তৃণমূল পার্টি অফিসে ভাঙচুর সহ লুঠপাটও চালানো হয়। গোটা এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজিও করা হয়। বিজেপির সমর্থকরা স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য সহ কয়েকজন তৃণমূল নেতার বাড়িতেও হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় সঞ্জয় সাঁতরা মোট ২৪জন বিজেপি সমর্থকের নামে রায়না থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে পুলিশ ৯জনকে গ্রেফতার করে। এদের মধ্যে ৫জন মহিলাও রয়েছেন।
যদিও এই ঘটনা সম্পর্কে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব প্রকাশ্যে কিছু বলতে চাননি। তাঁদের পাল্টা অভিযোগ, এই ঘটনায় কোনোভাবেই বিজেপি জড়িত নয়। শনিবার স্থানীয় তৃণমূল পার্টি অফিসের সামনে কয়েকজন বসেছিলেন। সেইসময় তৃণমূলের অপর গোষ্ঠীর লোকজন তাদের বেধড়ক মারধর করে। প্রতিবাদে গ্রামের মহিলা পুরুষ এককাট্টা হয়ে তাদের পাল্টা মারধর করে। রবিবার ধৃতদের বর্ধমান সিজেএম আদালতে তোলা হয়। ধৃতদের মধ্যে ৩জনকে ৪দিনের পুলিশী হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। বাকিদের আগামী ৩০ আগষ্ট ফের আদালতে পেশের নির্দেশ দিয়ে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।