আগামী শুক্রবার দুর্গাপুর মহকুমা জুড়ে জনবহুল এলাকা এবং বাজার এলাকা গুলিতে ব্যাপক স্যানিটাইজেশনের কাজ করা হবে। শুক্রবার বেলা ১২ টা থেকে এই স্যানিটাইজেশনের কাজ হবে বলে জানিয়েছেন দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক অনির্বাণ কোলে। বুধবার দুর্গাপুরের বেনাচিতি বাজার পরিদর্শনে এসে একথা বলেন মহকুমাশাসক অনির্বাণ কোলে।
মহকুমাশাসক বুধবার দুর্গাপুরের বেনাচিতি বাজার ও সংলগ্ন নাচন রোড এলাকায় সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং মানা হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে মহকুমা প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে পরিদর্শনে যান। লকডাউনের প্রথম দিন থেকেই এই বেনাচিতি বাজারে ক্রেতাদের ভিড় উপচে পড়ছে। করোনা ভয় উপেক্ষা করেই বেনাচিতি বাজারে ভিড় হচ্ছে। প্রায়ই দেখা যাচ্ছে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং শিকেয় তুলে ক্রেতা-বিক্রেতারাদের ভিড়ে উপচে পড়ছে বেনাচিতি বাজার। পুলিশ প্রশাসনের প্রথম দিকে নরম মনোভাব দেখালেও গত কয়েকদিন ধরে পুলিশ কড়া ব্যবস্থা নেওয়ায় বুধবার ভিড় কার্যত বেশ হাল্কা ছিল।
বুধবার বেনাচিতি বাজার পরিদর্শন করে মহকুমাশাসক বলেন, ‘বাজার গুলিতে ক্রেতাদের ভিড় হচ্ছে। এখান থেকে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। তাই বাজারে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং মেনে চলতে হবে। আজ বেনাচিতি বাজারে ক্রেতাদের ভিড় বেশ হাল্কা। সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং মানা হচ্ছে দেখলাম। তবে ফের যদি অত্যধিক ভিড় বাড়ে এবং বাজারে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং মানা না হয়, তবে আমরা কড়া ব্যবস্থা নেব। আমরা চাই মানুষ তাঁর প্রয়োজনীয় বাজার করুন কিন্তু সবটাই লকডাউনের নিয়ম মেনেই করতে হবে।’
মহকুমাশাসক এদিন বেনাচিতি বাজারে এসে ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলেন। বিক্রেতাদের মহকুমাশাসক পরামর্শ দেন দোকানের সামনে ক্রেতাদের ভিড় আটকাতে টোকেন চালু করুন এবং ক্রেতাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দেওয়া হবে তা নিশ্চিত করুন যাতে ক্রেতারা দোকানের সামনে একসঙ্গে ভিড় না করে ফাঁকা সময়ে দোকান থেকে জিনিস পত্র নিয়ে যেতে পারেন সেই ব্যবস্থা করতে হবে। আর কেবলমাত্র দুর্গাপুর মহকুমা জুড়ে জনবহুল এলাকায় ব্যাপক স্যানিটাইজেশন করা হবে এমন নয়, জানা গেছে গোটা পশ্চিম বর্ধমান জেলা জুড়ে একই দিনে এই স্যানিটাইজেশন ড্রাইভ নেওয়া হবে জেলা শাসকের নির্দেশে।