ছট পুজোয় অংশ নিতে আত্মীয়এর বাড়ি যেতে বৃদ্ধা মাকে ৭ দিন ঘরে তালা বন্ধ করে রাখল কীর্তিময়ী মেয়ে ও জামাই। ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপ ১২/৯, বিদ্যাপতিতে। আশি ছুঁই ছুঁই বৃদ্ধা দেবযানী কুমারীর স্বামী মারা যাবার পর মেয়ে প্রিয়াঙ্কা কুমারী বাবার দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টের চাকরিটি পায়। স্বামী হারা দেবযানী দেবী মেয়ে ও জামাই-এর কাছেই থাকেন। ছট পুজোয় মেয়ে প্রিয়াঙ্কা ও জামাই বিজয় বার্ণওয়াল ঘরে তালা দিয়ে আসানসোলের আত্মীয়ের বাড়িতে যান। এদিকে বৃদ্ধা দেবযানী দেবী তালা বন্ধ অবস্থায় কয়েকদিন কাটানোর পর পানীয় জল, খাবার না পেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং মঙ্গলবার সকালে বাড়ির মধ্যে কান্না কাটি শুরু করে দেন। পড়শিরা দেবযানীদেবীর অসহায় অবস্থা দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে মেয়ে ও জামাইকে ফোন করে বৃদ্ধাকে উদ্ধারের জন্য পুলিশের দ্বারস্থ হয়। বি-জোন ফাঁড়ির পুলিশ এসে উদ্ধার করে অসুস্থ দেবযানীদেবীকে দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্ট মেন হাসপাতালে ভর্তি করে।
এদিকে কীর্তিময়ী মেয়ে প্রিয়াঙ্কা ও জামাই বাড়ি ফিরলে পড়শিরা মেয়েকে উত্তম-মধ্যম দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক নেতা হিমাংশু আঁশ বলেন, বৃদ্ধা দেবযানীদেবীর ঘর থেকে গোঙানির আর্তনাদ শুনতে পেয়ে পড়শিরা আমাকে জানালে আমরা পুলিশে খবর দিই। এবং অসুস্থ দেবযানীদেবীকে উদ্ধার করি। মাকে তালা বন্ধ করে মেয়ে জামাই-এর বেড়াতে যাওয়ায় আমরা স্তম্ভিত। হিমাংশুবাবু আরও বলেন আমরা দেবযানীদেবীর সুস্থতা কামনা করছি একই সঙ্গে মেয়ে-জামাই-এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি পুলিশের কাছে। দেবযানীদেবীর পড়শিরাও মেয়ে জামাই-এর এই অমানবিকতার জন্য মেয়ে-জামাই এর কঠোর শাস্তির দাবি জানান। এদিকে মেয়ে প্রিয়াঙ্কার দাবি সাত দিন আগে আমরা আসানসোল গিয়েছিলাম। ফ্রিজে খাবার, পানীয় জল সব রেখে গিয়েছিলাম। প্রিয়াঙ্কার আরও দাবি মা মানসিক ভারসাম্যহীন তাই মা ঘরে চিৎকার করে কেঁদেছে।