শহরের প্রাণকেন্দ্র দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের অবনীন্দ্রনাথ বীথির এক বাড়িতে এক বৃদ্ধের অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দুর্গাপুরে শুক্রবার চাঞ্চল্য ছড়াল। পুলিশ সুত্রে জানা গেছে মৃতের নাম সত্যরঞ্জন খাঁড়া। আনুমানিক ৭০বছর বয়স। কয়েক বছর আগে স্ত্রী মারা গেছেন। এক মাত্র ছেলে সুমিত খাঁড়া গাড়ি কেনাবেচা করেন। বাড়িতে সুমিত খাঁড়া না থাকায় সত্যরঞ্জন বাবু এক সেবাকর্মীর সেবা সুশ্রুষায় বাড়িতে একাই থাকতেন। বৃহস্পতিবার রাতে ওই সেবাকর্মী বাড়িতে এসে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় সত্যরঞ্জনবাবু মেঝেতে পড়ে রয়েছেন। ওই সেবাকর্মী পড়শীদের বিষয়টি জানালে পড়শীরা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, সত্যরঞ্জন খাঁড়ার মাথার পিছনে চপার দিয়ে আঘাত করার চিহ্ন রয়েছে। পুলিশের অনুমান সম্প্রতি স্টিল টাউনশিপ ভগৎ সিং রোড থেকে মহম্মদ সেলিম নামে এক ব্যক্তিকে পুলিশ ওড়িশা থেকে চুরি যাওয়া গাড়ি সহ বেশকিছু বেআইনি গাড়ি আটক করে। পুলিশি তদন্তে সেলিম জেরার মুখে সুমিত খাঁড়া ফাঁসিয়েছে বলে দাবি করে সেই সময়। এদিকে গাড়ি কারবারি মহম্মদ সেলিম গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে সুমিতও বেপাত্তা। স্বাভাবিক ভাবেই পুলিশের অনুমান সত্যরঞ্জন খাঁড়া খুনে চোরাই গাড়ি কারবারি মহম্মদ সেলিমের যোগ থাকতে পারে। দুর্গাপুরের ডিসিপি (পূর্ব) অভিষেক মোদী যদিও সত্যরঞ্জন খাঁড়া খুনে তদন্তের স্বার্থে বিশদ কিছু বলতে চাননি। ডিসিপি বলেন সব দিক থেকেই তদন্ত করা হচ্ছে।