ছাত্র তান্ডবের রেশ কাটিয়ে ফের স্বাভাবিক হচ্ছে দুর্গাপুরের নারায়না স্কুল। স্কুলে ছাত্রদের ভাঙচুরের পর সমস্ত আবর্জনা ফেলে সোমবার স্কুলকে অনেকটাই পরিস্কার করতে সমর্থ হল স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুলে ছাত্র ক্ষোভ ও ভাঙচুরের খবর পেয়ে নারায়না স্কুলের হায়দ্রাবাদ ও কলকাতা থেকে আসা আধিকারিকরা শনিবার দুর্গাপুরে এসেই নারায়ানা স্কুলের দুর্গাপুর ও আসানসোলের ডিরেক্টর মাধব আচার্য্যকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়। স্কুল কর্তৃপক্ষের পক্ষে এক আধিকারিক রাজলক্ষী ঘোষণা করেন ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে ভাঙচুরে যুক্ত কোন ছাত্রছাত্রীর বিরুদ্ধে আমরা থানায় অভিযোগ করছি না। আগামী শুক্রবার থেকে ফের স্কুল খুলবে এবং নিয়মিত ক্লাস শুরু হবে। রেজিস্ট্রেশন না থাকার বিষয়ে রাজলক্ষী বলেন, যে কোন স্কুলে সিবিএসই’র অনুমোদন পেতে একটু সময় লাগে। স্কুলের অনুমোদনের বিষয়টি প্রসেসিং-এর মধ্যে রয়েছে। তাছাড়া শিক্ষক সমস্যার কথাও তিনি অস্বীকার করেন এদিন।
উল্লেখ্য, স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ঠিকমত ক্লাস না হওয়া থেকে মারধর সহ একগুচ্ছ আভিযোগে বৃহস্পতিবার রাতভোর নারায়না স্কুলের আবাসিক ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এর পরই স্কুলটি বন্ধ করে দেয় নারায়না স্কুল কর্তৃপক্ষ। রবিবার নারায়না স্কুলের হায়দ্রাবাদের প্রতিনিধিরা দুর্গাপুরে এসে স্কুলের ভাঙচুরের আর্বজনা কর্মীদের দিয়ে পরিষ্কার করে আগামী শুক্রবার থেকে ফের স্কুল খোলার কথা ঘোষণা করেন।
এদিকে দুর্গাপুর হেমশীলা মডেল স্কুলের বেনিয়ম নিয়ে কয়েকদিন আগে অভিভাবকদের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে পুলিশের লাঠি চার্জের অভিযোগ ওঠে। এর প্রতিবাদে সোমবার এসএফআই স্কুলের সামনে লিফলেট বিলি করায় আভিভাবকদের একাংশ ক্ষুদ্ধ নয়। অভিভাবকদের অভিযোগ এত দিন অভিভাবকদের পাশে কাউকেই দেখা যায় নি, কিন্তু আসন্ন দুর্গাপুর পৌরসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই এবার এসএফআই হেমশীলা মডেল স্কুলের ফি-বৃদ্ধি ইস্যুতে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করতেই আসরে নেমেছে। অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলিও স্কুল ও অভিভাবকদের সমস্যাকে এসএফআই-এর রাজনৈতিক হাতিয়ার করার চেষ্টাকে তীব্র নিন্দা করেছে।