বাচ্চাকে দেখাশোনার জন্য রাখা আয়া আলমারির লকার ভেঙে গয়না নিয়ে চম্পট দেওয়ার পরেও শেষরক্ষা হল না। অভিযোগ দায়ের হওয়ার তিন ঘন্টার মধ্যেই অভিযুক্তকে ধরে গয়না উদ্ধার করল আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দুর্গাপুরের সেপকোর ৩এ/৩/২৭ নং এর বাসিন্দা শোভন চক্রবর্তী ও তাঁর স্ত্রী দু’জনেই চাকুরি করেন। তাঁদের অনুপস্থিতিতে বাড়িতে বাচ্চার দেখাশোনার জন্য ভিড়িঙ্গীর নঈমনগরের বাসিন্দা নিলীমা মাজি নামে এক মহিলাকে আয়ার কাজে রাখেন। চলতি মাসের ১২ তারিখের পর থেকে ওই মহিলা আর কাজে আসেননি। বৃহস্পতিবার দুপুরে চক্রবর্তী দম্পতি দেখেন তাঁদের ঘরে আলমারীর লকার ভাঙা। প্রায় তিন থেকে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা সোনার গয়না গায়েব। এরপরেই তাঁরা বি-জোন ফাঁড়িতে চুরির লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে পুলিশ প্রথমেই নিলীমা মাজিকে আটক করে জেরা শুরু করে আর সেই জেরায় অভিযুক্ত মহিলা চুরির বিষয়টি স্বীকার করে নেন। নিলীমা মাজির তথ্য অনুযায়ী পুলিশ কাঁকসার মনিকারা এলাকায় অভিযুক্তার বাবার বাড়িতে তল্লাশি চালায়। সেখান থেকে প্রায় ৭০ শতাংশ গয়না পুলিশ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। এরপর বাকি গয়নার ক্ষেত্রে ওই মহিলা জানান তিনি নঈমনগর এলাকায় কিছু গয়না বিক্রি করে দিয়েছেন। সেই সব গয়নাও পুলিশ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।