দুর্গাপুরের স্টিল টাউনশিপের নেতাজী সুভাষ রোডে একটি আবাসনে এক মহিলাকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। এই রহস্য মৃত্যুকে ঘিরে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় শনিবার সকালে। জানা গেছে, মৃতার নাম ঝুম্পা মজুমদার (৩০), স্বামীর নাম বিশ্বনাথ মজুমদার। তাঁদের একটি সাত বছরের কন্যা সন্তান আছে বলে জানা গেছে।
প্রতিবেশীরা জানান, শুক্রবার রাতে বিশ্বনাথবাবু এবং ঝুম্পার মধ্যে খুব ঝগড়া হয়। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বলে প্রতিবেশীরা রাতে এর মধ্যে ঢুকতে চাননি বলে জানান। এরপরেই রাত দশটা নাগাদ পুলিশের একটি গাড়ি আসে ওই বাড়িতে। এরপরেই প্রতিবেশীরা খবর দেন স্থানীয় কাউন্সিলর রাজীব ঘোষকে এবং তাঁরা জানতে পারেন ঝুম্পা মজুমদারের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। প্রতিবেশীদের অনুমান ঝুম্পাকে স্বামী খুন করেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্তে নেমেছে। আটক করেছে মৃতার স্বামী ও স্বামীর দুই বন্ধুকে।
স্থানীয়রা জানান, ঝুম্পার স্বামী বিশ্বনাথ মজুমদার মদ্যপ অবস্থায় প্রায়ই রাতে ঝুম্পাদেবীকে মারধর করতেন। বাড়িতে নেশার আসর বসাতো। ঝুম্পা প্রতিবাদ করলে ঝুম্পাকে মারধর করতেন তাঁর স্বামী বিশ্বনাথ মজুমদার। স্থানীয় কাউন্সিলর রাজীব ঘোষও বিশ্বনাথ মজুমদারকে একজন দাগি অপরাধী বলেন। রাজীব ঘোষ বলেন, ‘এর আগেও বিশ্বনাথ মজুমদারকে বিভিন্ন ঘটনায় এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তখন তাঁর স্ত্রী ঝুম্পা মুচলেকা দিয়ে বিশ্বনাথ মজুমদারকে বাড়িতে নিয়ে আসেন।’ রাজীব ঘোষ দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। মৃতার ভাই মৃদুল মিস্ত্রী বলেন, ‘জামাইবাবু বিভিন্ন অজুহাতে দিদির উপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করতো। শুক্রবার রাতে জামাইবাবু ঠান্ডা মাথায় খুন করেছে দিদিকে।’