দুর্গাপুরে বেনাচিতির সুভাষ পল্লীর সুকান্ত সরণিতে মঙ্গলবার সকালে এক বৃদ্ধ দম্পতির মৃতদেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল। মৃত দম্পতির নাম শঙ্কর দে (৭০) ও সুচিত্রা দে(৬৫)। শঙ্করবাবু ও সুচিত্রাদেবী দু’জনেই দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। সুচিত্রাদেবীর ডায়ালিসিস চলছিল।
জানা গেছে, সোমবার রাতে শঙ্করবাবু ও সুচিত্রাদেবী খাওয়া দাওয়ার পর শুয়ে পড়েন। শঙ্করবাবুর ছেলে সুজয় দে ও তাঁর স্ত্রীও খাওয়া দাওয়ার পর তাঁদের ঘরে শুতে যান। মঙ্গলবার সকালে সুজয়বাবুর স্ত্রী ঘুম থেকে উঠে শ্বাশুড়িমাকে বিছানায় অসাড় অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে শ্বশুরমশাইয়ের খোঁজ শুরু করেন। এরপরেই সুজয়বাবু ও তাঁর স্ত্রী বাড়ির পাশে একটি গাছে শঙ্করবাবুকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।
এরপর দুর্গাপুর থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে বৃদ্ধ দে দম্পতির মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। ঘটনাস্থলে গিয়ে দুর্গাপুরের এসিপি খান্ডেলওয়াল উমেশ গণপত তদন্ত শুরু করেন। মৃত শঙ্করবাবুর ছেলে সুজয় দে বলেন, সোমবার রাতে খাবার খেয়ে বাবা ও মা শুয়ে পড়েন। সকালে মাকে তাঁর বিছানায় মৃত অবস্থায় দেখতে পায় আমার স্ত্রী, এরপর বাবার খোঁজ করতে গিয়ে বাড়ির পাশের একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাই। বুঝতে পারছি না কি করে এমন হল। মৃত শঙ্করবাবুর শ্যালক বলেন, জামাইবাবু দিদিকে খুব ভালোবাসতেন। মনে হয় দিদি রাত্রে মারা গেছেন দেখতে পেয়ে জামাইবাবু শোক সামলাতে না পেরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
এদিকে পড়শীরা বলছেন অন্য কথা, দীর্ঘ রোগভোগ ও একাকীত্বের জন্য অবসাদে ভুগছিলেন বৃদ্ধ শঙ্করবাবু ও সুচিত্রাদেবী। একাকীত্ব ও রোগমুক্তির জন্য হয়ত পূর্বে স্ত্রীর মৃত্যু নিশ্চিত করে পরে নিজের গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন শঙ্করবাবু। পুলিশও এই বৃদ্ধ দম্পতির রহস্য মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশায় রয়েছে। মৃত্যুর আসল কারণ অনুসন্ধান করতে মৃত শঙ্কর দে ও সুচিত্রা দে’র ছেলে ও তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে পুলিশ সব সম্ভাব্য দিক খতিয়ে দেখছে।