১৪ সেপ্টেম্বর মুম্বাই থেকে বাঁকুড়া জেলার খাতড়ার কাছে কালাপাহাড় গ্রামে নিজেদের বাড়িতে দুর্গাপুজোয় সামিল হতে আসছিলেন সত্তরোর্ধ মিনুদেবী ও তাঁর মেয়ে বছর চল্লিশের বিজয়লক্ষী। জানা গেছে, বাঁকুড়ার খাতড়াতে তাঁদের আদি বাড়ি। প্রায় ৩৫ বছর পরে মা-মেয়ে মুম্বাই থেকে বাঁকুড়া যাওয়ার জন্য বের হন। জানা গেছে, বিজয়লক্ষী মুম্বাইয়ে তাঁর আত্মীয় ভবেশ কুমারের সংস্থার কর্মী।
ভবেশবাবু জানান, গত ১৫ সেপ্টেম্বর বিজয়লক্ষ্মী তাঁকে ফোনে দুর্গাপুর স্টেশনে নামার কথা জানানোর পর আর তাঁদের সাথে যোগাযোগ করা যায়নি। এরপর থেকেই মা ও মেয়ের ফোন বন্ধ। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে ভবেশ কুমার মুম্বাই পুলিশের দ্বারস্থ হন। সেখানে মিসিং ডায়েরি করার পরে ভবেশ কুমার দুর্গাপুরে আসেন। কথা বলেন এসিপি(দুর্গাপুর)তথাগত পান্ডের সাথে। ভবেশ কুমারের দাবি, মুম্বাই পুলিশ বিজয়লক্ষীর ফোনের টাওয়ার লোকেশন দেখে জানিয়েছে তাঁদের শেষ টাওয়ার লোকেশন দুর্গাপুরের বেনাচিতি বাজারের ভিড়িঙ্গী কালীবাড়ি এলাকা। কিন্তু এরপর কোথায় গেলেন মা ও মেয়ে? তাদের এই রহস্যজনক নিঁখোজ হওয়ার ঘটনার তদন্তে নে,মেছে দুর্গাপুর পুলিশ। ভবেশ কুমার একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। তিনি মুম্বাই বণিকসভার সাথেও যুক্ত। তিনি বাঁকুড়াতেও গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন। কিন্তু যে গ্রামে মিনুদেবী ও বিজয়লক্ষীর যাওয়ার কথা ছিল সেখানে তাঁরা যাননি বলে ভবেশ কুমারকে জানিয়েছেন তাঁদের আত্মীয়রা। ভবেশবাবু বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার সহ খাতড়ার বিডিওর সাথেও যোগাযোগ করেন। এখন ভবেশ কুমার মা ও মেয়েকে হন্যে হয়ে খুঁজছেন। মা ও মেয়ের এই রহস্যজনক উধাও হওয়ার ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশের কাছে হাতিয়ার তাঁদের কললিস্ট। সেই কললিস্টে ভবেশ কুমারকেই বেশ কয়েকবার ফোন করা ছাড়া আরও একটি ফোন নম্বর পাওয়া গেছে। ওই নম্বরটি কার, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।