এক বাঁদরের বাঁদরামিতে আহত হলেন ১০ জন। আজ, রবিবারও বাঁদরের আক্রমণে জখম এক মহিলাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুরের ৪১ নং ওয়ার্ডের দুর্গাপুর স্টেশন বাজারের সেন মার্কেটে। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, একটি বাঁদর গত কয়েকদিন ধরে সেন মার্কেটে লাগাতার তান্ডব চালিয়ে যাচ্ছে। সুযোগ বুঝে গাছ থেকে নেমে ব্যবসায়ী থেকে এলাকার বাসিন্দাদের কামড় দিয়ে ফের উঠে যাচ্ছে গাছে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১০ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দা থেকে ব্যবসায়ী সকলেই ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছেন এই বাঁদরের বাঁদরামিতে। সেন মার্কেটে বাঁদরটি লাগাতার তান্ডব চালিয়ে যাওয়ায় বাজারের বেচাকেনা শিকেয় উঠেছে বলে অভিযোগ স্থানীয় ব্যবসায়ীদের। বাঁদরের কামড়ের ভয়ে রবিবারও দেখা গেল সেন মার্কেটে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েই ভয়ে সিঁটিয়ে রয়েছেন। বাঁদরের আগমন ঘটলেই ক্রেতা-বিক্রেতা সকলেই দৌড়ে পালাচ্ছেন বাজার ছেড়ে।
স্থানীয় মানুষ ও ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসন ও বন দফতরে জানানো সত্ত্বেও বিষয়টিকে কার্যত হাল্কা ভাবে নেওয়ায় এলাকায় এখনও পর্যন্ত ১০ জন বাঁদরের কামড়ে আহত হয়েছেন। এবং গোটা এলাকায় একটা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদের মতো একই অভিযোগ করলেন স্থানীয় কাউন্সিলর শিপুল সাহা। শিপুলবাবু বলেন, ‘বন দফতরের সাহায্য চাইলে বন দফতরের কর্মীরা একবার এলাকায় এসে খোঁজখবর নিয়ে চলে গেছেন। তারপর আর বন দফতরের পক্ষ থেকে বাঁদরটিকে ধরার কোন উদ্যোগ দেখা যায় নি। ফলে এলাকায় একের পর এক লোকজনকে বাঁদরটি কামড়ে যাচ্ছে। আমরা চাই বন দফতর অবিলম্বে এই বাঁদরটিকে ধরে নিয়ে গিয়ে স্বস্তি দিক এলাকাবাসীকে।’
এই বিষয়ে দুর্গাপুর বন দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মূখ্য বনপাল মিলন কান্তি মন্ডল বলেন, ‘আমি বিষয়টি এখনই জানলাম। দ্রুত বন দফতরের একটি টিম পাঠাচ্ছি ওই এলাকায়। যেসব মানুষজন বাঁদরের কামড়ে আহত হয়েছেন, তাঁরা যদি দুর্গাপুরের বন দফতরের কার্যালয়ে যোগাযোগ করেন তাহলে বন দফতরের নিয়মে আহতদের চিকিৎসার খরচও দেওয়া হবে।’
বর্ধমান ডট কম-এর খবর নিয়মিত আপনার ফেসবুকে দেখতে চান?