কেন্দ্রের কাছে রাজ্য সেচ দপ্তরের বকেয়া রয়েছে ২১৯ কোটি টাকা, কেন্দ্র ওই বকেয়া না দেওয়ায় বিশ্বব্যাঙ্কের টাকায় রাজ্যের সমস্ত সেচখাল সংস্কারের পরিকল্পনা নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। বৃহস্পতিবার দুর্গাপুরে এসে একথা বলেন সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের সমস্ত সেচখাল সংস্কার করে জলধারন ক্ষমতা বাড়ানো এবং নতুন সেচ খাল তৈরি করে নদীর জলধারণ করে খরা সহ বিভিন্ন পরিস্থিতির মোকাবিলা করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রাজ্য বিশ্বব্যাঙ্কের কাছ থেকে ২৭৬৮ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে রাজ্যব্যাপি সেচখাল সংস্কারের বৃহৎ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুর্গাপুরে আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের কনফারেন্স হলে রাজ্যের দুই মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ ও সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দোপাধ্যায় বর্ষার প্রাক্কালে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানের বন্যা পরিস্থিতি পর্যালোচনা সহ বর্ষার জলমগ্ন এলাকায় দুই জেলার দুর্যোগ মোকাবিলা টিম এবং পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানের জেলা প্রশাসনের কর্তা সহ পুর্ব বর্ধমানের সাংসদ মমতাজ সংঘমিতাকে নিয়ে এক জরুরি বৈঠক করার পর সেচ মন্ত্রী একথা জানান সাংবাদিকদের। বৈঠকে এদিন বর্ষার জলে বন্যা পরিস্থিতি আগাম মোকাবিলা সহ বিভিন্ন উন্নয়ন মুলক কর্মসূচি নেওয়া হয় বলে জানা গেছে। সেচমন্ত্রী এদিন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে পূর্বের কেন্দ্রীয় সরকারের সময়ে অনুমোদন হওয়া টাকা কেটে নেবারও অভিযোগ করেন। রাজীব বাবু এদিন কেন্দ্রীয় জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী উমা ভারতীর দামোদর সংস্কারে রাজ্যের কোন আবেদন না করার অভিযোগ খন্ডন করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উমা ভারতীকে রাজ্যের ফাইল না পড়ার পাল্টা অভিযোগ করেন। এদিন সেচ মন্ত্রী বালিঘাট বির্তকে ই-টেন্ডারের মাধ্যমে স্বচ্ছতা আনার ফলে রাজ্যের আয় বেড়েছে বলে দাবি করে পুর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানের জন্য সেচ প্রকল্পে ৩০ কোটি টাকা বরাদ্দের কথাও ঘোষণা করেন। আসন্ন পৌর নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানের বিভিন্ন উন্নয়ন ও পর্যালোচনা মুলক মন্ত্রীদের বৈঠকও এখন লাগাতার দুর্গাপুরেই করা হচ্ছে বলে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে।