মিনিবাসের একদিনের প্রতীকি ধর্মঘটে সোমবার সপ্তাহের প্রথম দিনে দুর্গাপুরে জনজীবনে ব্যাপক প্রভাব পড়ল। অফিস যাত্রী, রোগী, স্কুল পড়ুয়া থেকে পথচলতি মানুষ গন্তব্যে যাওয়ার নিত্যসঙ্গী মিনিবাস বন্ধের জেরে সোমবার চরম দুর্ভোগে পড়লেন। শহরে বেআইনি অটো-টোটোর দৌরাত্ম্যে মিনিবাস শিল্প রুগ্ন হয়ে পড়ার অভিযোগে অবৈধ অটো-টোটো বন্ধের দাবিতে প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে সোমবার সকাল থেকে দুর্গাপুরের বিভিন্ন রুট সহ পশ্চিম বর্ধমান জেলায় মিনিবাস চলাচল একদিনের জন্য বন্ধ রাখল মিনিবাস সংগঠনগুলি। তার প্রভাব পড়ে শিল্পাঞ্চলের জনজীবনে।

এদিন মিনিবাস ধর্মঘটের কারণে পথে বেরিয়ে নাকাল যাত্রীদের মধ্যে অন্ডালের ভরতচন্দ্র মন্ডল তাঁর অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে বলেন, ‘আমার আজ ডিএসপি হাসপাতালে এক্স-রে করার কথা ছিল। মাস খানেক আগে ডেট নিয়েছি। কিন্তু আমি আজ জানতাম না দুর্গাপুরে মিনিবাস বন্ধ রয়েছে। তাই অন্ডাল থেকে সিটি সেন্টারে বড় বাসে নেমে অটো করে প্রান্তিকা আসি। কিন্তু প্রান্তিকা থেকে ডিএসপি হাসপাতালে যেতে পারছি না। অটোগুলো মোটা টাকা চাইছে।‌ মাঝ রাস্তায় আটকে গেছি আমি। না অন্ডাল যেতে পারছি। না ডিএসপি হাসপাতাল। আগে যদি জানতাম তাহলে আজ বাড়ি থেকে বের হতাম না।’ কেবলমাত্র ভরতচন্দ্র মন্ডলই নন, সোমবার মিনিবাস ধর্মঘটে অনেক পথচলতি মানুষ, স্কুল পড়ুয়া, অফিস যাত্রীর এইভাবেই গন্তব্যে পৌঁছাতে নাকাল হন। দুর্গাপুর মিনিবাস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কাজল দে জানান, অবৈধ অটো-টোটোর দৌরাত্ম্যে মিনিবাস শিল্প আজ সঙ্কটে। আমরা প্রশাসনকে বার্তা দিতে আজ একদিনের ধর্মঘট করছি। পশ্চিম বর্ধমান জেলের প্রায় এক হাজার মিনিবাস আজ পথে নামে নি। সমস্যার সমাধান না হলে রাজ্য জুড়ে ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হবে।

দুর্গাপুর মিনিবাস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কাজল দে


Like Us On Facebook