যাদবপুর কাণ্ডে ইতিমধ্যেই ঘটনার জড়িত থাকার অভিযোগে ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকালই যে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তার মধ্যে মেমারির বারারি গ্রামের বাসিন্দা সেখ নাসিম আখতার নামে যাদবপুরের এক ছাত্রও আছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর স্তরে কেমিস্ট্রী নিয়ে পড়াশুনা করত নাসিম। গত জুলাই মাসেই ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হয়। গত ১০ আগস্ট তাঁর দাদু মারা যাওয়ায় বাড়িতে আসে নাসিম। তারপর থেকে তিনি বাড়িতেই ছিলেন বলে দাবি পরিবারের। এই ঘটনায় তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে পরিবারের লোকজন।
অন্যদিকে, বারারি গ্রামের মেধাবী এই ছাত্রকে আচমকাই গ্রেফতারের ঘটনায় রীতিমত অসুস্থ হয়ে পড়েছেন পেশায় আশাকর্মী নাসিম আখতারের মা নূরজাহান সুলতানা। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টা নাগাদ যাদবপুর থানার এই কেসের তদন্তকারি অফিসার বি.কে আচার্য চিঠি মারফৎ সেখ নাসিম আখতারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠান। সেই অনুযায়ী শুক্রবার সকাল ৮ টা নাগাদ নাসিম বাবা সেখ নাসির হায়দারকে সঙ্গে নিয়ে যাদবপুর থানার উদ্দেশ্য বের হন। টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর সন্ধ্যায় নাসিমের গ্রেফতারির খবর বাড়িতে আসতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন মা। বাড়িতে মা ছাড়া নবম শ্রেণীতে পাঠরতা এক বোন আছে নাসিমের। গ্রামে ভাল ছেলে হিসাবে পরিচিত নাসিমের গ্রেফতার বা নাসিম এই ঘটনার সাথে যুক্ত ভাবতেই পারছেন না তাঁর প্রতিবেশীরা। অত্যন্ত মেধাবী ছেলে নাসিমের গ্রেফতারি তাঁরা মেনে নিতে পারছেন না। যদিও যাদবপুরে ঘটে যাওয়া ঘটনার নিন্দাও করছেন তাঁরা। গ্রামের স্কুল থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করার পর হাওড়ার খলৎপুর আলআমিন মিশন থেকে দ্বাদশের পরীক্ষা দেন নাসিম। তারপর থেকেই তিনি যাদবপুরে পড়াশোনা করতেন।