চূড়ান্ত গোপনীয়তার মধ্যে দিয়ে সোমবার পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি এবং সহকারী সভাধিপতির নাম ঘোষণা এবং দ্রুততার সঙ্গে তাঁদের শপথ অনুষ্ঠান করা হল। পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের নতুন সভাধিপতি হলেন মঙ্গলকোটের পালিশ গ্রামের বাসিন্দা শ্যামাপ্রসন্ন লোহার এবং সহকারী সভাধিপতি হলেন বর্ধমান ১নং ব্লকের খাঁপুকুর এলাকার বাসিন্দা গার্গী নাহা। উল্লেখ্য, বিদায়ী জেলা পরিষদের বোর্ডে শ্যামাপ্রসন্ন লোহার বন ও ভূমি দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ ছিলেন। এদিন বর্ধমান সংস্কৃতি লোকমঞ্চের অ্যানেক্স সভাঘরে এই নতুন বোর্ডের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান করা হয়। জেলা পরিষদের নির্বাচিত সদস্যরা ছাড়াও জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা এবং জেলা পরিষদের অতিরিক্ত জেলাশাসক কাজল রায় উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ৩৯ বর্ষীয় শ্যামাপ্রসন্ন লোহার কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবীও। অন্যদিকে, গার্গী নাহা সোসিওলজিতে মাষ্টারডিগ্রী ছাড়াও বিএড করেছেন। পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের নতুন এই বোর্ডে নতুন ও তরুণদের প্রাধান্য দেওয়া হলেও প্রাক্তন সভাধিপতি এবং বিদায়ী বোর্ডের সহকারী সভাধিপতি দেবু টুডু সহ পুরানোদের কি দায়িত্ব দেওয়া হয় তার দিকেই এখন তাকিয়ে রয়েছেন সকলে। এদিন সংস্কৃতি লোকমঞ্চে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের পর মিছিল করে কার্জনগেটের সামনে হাজির হন নির্বাচিত ৬৫ জন সদস্য। এদিন জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে নবনির্বাচিত এই সদস্য এবং সভাধিপতি ও সহকারী সভাধিপতিদের সম্বর্ধনা জানানো হয়। পরে নতুন সভাধিপতি এবং সহকারী সভাধিপতি ব্যাণ্ড পার্টি সহযোগে হাজির হন জেলা পরিষদে তাঁদের নিজস্ব চেম্বারে।

এদিন নতুন সভাধিপতি জানিয়েছেন, মানুষের কাছে পরিষেবা ঠিকমত পৌঁছানোর জন্য কাজ করবেন। আমাদের সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পগুলো যাতে মানুষের কাছে পৌঁছানো যায় সেগুলোর উপরই আমাদের ফোকাস করতে হবে। অনেক কাজ হয়েছে, যেগুলো বাকি আছে সেগুলো সম্পূর্ণ করা হবে। কোনও কাজ বাস্তবায়িত করতে অনেক কারিগরী সমস্যা দেখা দেয়, তখন কিছুটা দেরি হয়। সেগুলো দূর করার চেষ্টা করবেন। কোনও এলাকায় রাস্তা খারাপ থাকলে সেটা আমাদেরই করতে হবে। নতুন সভাধিপতি জানিয়েছেন, যদি সদস্যরা অনুমতি দেন তাহলে প্রথমেই জেলাপরিষদ থেকে একটা সেল্টার হাউস করার ইচ্ছা আছে। বর্ধমানের স্টেশন-সহ বিভিন্ন জায়গায় যে সমস্ত ভবঘুরে থাকেন তাঁদের জন্য। তিনি বলেন, জেলাপরিষদের সকল সদস্য হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করবো। প্রাক্তন সভাধিপতি যিনি জেলাপরিষদের বর্তমান সদস্য শম্পা ধাড়া এদিন সভায় উপস্থিত না থাকা প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, উনি একই সাথে বিধায়ক তাই অন্য গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যস্ত থাকবেন বলে আগেই জানিয়েছিলেন। অপরদিকে, এদিন এভাবে গোপনীয়তা এবং অনাড়ম্বর ভাবে শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, সকলে যেরকম চেয়েছেন তেমন হয়েছে। এক্ষেত্রে তাঁর বলার কিছু নেই। যদিও এদিন বিকালেই কলকাতা থেকে ফিরে নতুন সভাধিপতি ও সহকারী সভাধিপতিকে শুভেচ্ছা জানাতে ছুটে আসেন বিদায়ী সভাধিপতি শম্পা ধাড়া। নতুন বোর্ডকে তিনি সবরকমের সহযোগিতা করবেন বলে এদিন জানান।

Like Us On Facebook