বিভিন্ন আয়ুর্বেদিক ওষধি সহ প্রসাধনীতে ব্যাপক ভাবে ব্যবহার করা হয় অ্যালোভেরা(ঘৃতকুমারী)। এবার সেই অ্যালোভেরার ফ্রেস প্রোডাক্ট মানুষের হাতে তুলে দিতে উদ্যোগ নিল দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লক প্রশাসন।
দুর্গাপুরের ফরিদপুর ব্লকের কালিপুর গ্রামে ১০০দিনের প্রকল্পে দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লক প্রশাসন ভেষজ গুণাগুণ সমৃদ্ধ অ্যালোভেরার চাষ শুরু করল। প্রাথমিক ভাবে এক হাজার অ্যালোভেরার গাছ লাগানো হল। ভেষজ গুণাগুণ সমৃদ্ধ অ্যালোভেরার বিভিন্ন প্রোডাক্ট প্যাকেটজাত করে বাজারে বিক্রি ও কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লক প্রশাসন শুক্রবার মাঠে এক অনুষ্ঠান করে অ্যালোভেরা গাছ লাগানো শুরু করল।
পশ্চিমবঙ্গ সরকার সম্প্রতি প্রতিটি পঞ্চায়েত এলাকায় ওষধি গুণাগুণ সমৃদ্ধ গাছ লাগানোর উপর জোর দিয়েছে বলে জানা গেছে। দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের বিডিও শুভ সিংহরায় বলেন, সরকারের নির্দেশে প্রতিটি ব্লকের পঞ্চায়েত এলাকায় ভেষজ গুণ সমৃদ্ধ গাছ লাগানোর উপর সরকার জোর দিয়েছে। আমরা সরকারের সেই নির্দেশ মেনে অ্যালোভেরার চাষ শুরু করলাম। এর আগে নিম, অর্জুন সহ আরও বিভিন্ন ওষধি গাছ লাগানো হয়েছে। অ্যালোভেরার বিভিন্ন সামগ্রী প্যাকেটজাত করে বাজারে বিক্রি করা হবে। একদিকে মানুষ ওষধি গুণে ভরপুর প্যাকেটজাত অ্যালোভেরা হাতে পাবে। অপরদিকে এলাকায় কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এতে এলাকার অর্থনীতি চাঙ্গা হবে। বিডিও শুভ সিংহরায় আরও বলেন, কালিপুর ছাড়াও পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকায় সরকারি পড়ে থাকা জমিতে ভেষজ গুণ সমৃদ্ধ আরও বিভিন্ন উদ্ভিদ ও ফলের গাছ লাগানো হবে। এই বিষয়ে একটি মাস্টার প্ল্যান তৈরি করা হয়েছে।