দুর্গাপুর নগর নিগমের পক্ষ থেকে বেনাচিতি বাজারের আনন্দ গোপাল মুখার্জি সরণির যেসব অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলার নোটিস ধরানো হয়েছে তা অভিযোগের ভিত্তিতে এবং প্রয়োজনীয় খোঁজ খবর করেই করা হয়েছে। বুধবার দুর্গাপুর নগর নিগমের কনফারেন্স হলে এক সাংবাদিক সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এই দাবি করেন দুর্গাপুর নগর নিগমের মেয়র দিলীপ অগস্তি। দিলীপবাবু বলেন, কলকাতা পুরসভার অবৈধ নির্মাণ নিয়ে যে আইন রয়েছে তাই অনুসরণ করে দুর্গাপুর নগর নিগম বেনাচিতি বাজারের অবৈধ নির্মাণের ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেবে।
অবৈধ নির্মাণের নোটিসে শাসক দলের অনেক নেতা-কাউন্সিলারকে বেছে বেছে ছাড় দিয়ে কেবলমাত্র কিছু ব্যবসায়ীকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে অবৈধ নির্মাণ ইস্যুতে বাড়ি ভাঙার নোটিস ধরিয়েছে পুরসভা, এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মেয়র সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন অবৈধ নির্মাণের ক্ষেত্রে কোন দ্বিচারিতা করা হয়নি। অবৈধ নির্মাণ ভাঙার ক্ষেত্রে মেয়র দিলীপ অগস্তি যে কড়া স্ট্যান্ড নিয়েছেন তা বুধবারের সাংবাদিক সম্মেলনে স্পষ্ট করেন। গ্রামের আরএস প্লটে বসবাসকারীদের অবৈধ নির্মাণ নিয়ে দুর্গাপুর নগর নিগমের কিছু পরিকল্পনা যে রয়েছে তাও জানান এদিন।
মেয়র সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, আমার অস্বীকার করার কোন উপায় নেই যে দুর্গাপুরে ৮০% ব্যবসায়ী ট্রেড লাইসেন্স ছাড়াই ব্যবসা করছেন। তাছাড়া দুর্গাপুরের সরকারি অফিসগুলি আসানসোলে হওয়ায় দুর্গাপুর অফিস বিহীন হয়ে পড়েছে এবং তার জন্য বাম শাসন থেকে পুরাতন বোর্ডের সকল মানুষকেই দোষারোপ করেন মেয়র। তিনি আরও বলেন, দুর্গাপুর নগর নিগমের খরচ কমাতে মেয়র পারিষদদের চা সহ বিভিন্ন খরচ এমনকি আমি নিজে বাড়ি বা অফিসে এসি ব্যবহার করিনা এবং মেয়র পারিষদদেরও অফিস রুমে এসি বন্ধ করে দিয়েছি। মেয়রের দাবি, মেয়র পারিষদরা এই বিষয়ে পূর্ণ সহযোগিতা করছেন। মেয়র এদিন মজার ছলে বলেন, এক বছর স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ পেলে আমি নিজস্ব টিম তৈরি করে দুর্গাপুরকে নতুন ভাবে সাজিয়ে তুলতে পারতাম। এছাড়া হকারদের স্বাধীনভাবে ব্যবসা করার ব্যাপারে নগর নিগম কিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বলেও জানান মেয়র।