বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় এক বিবাহিত মহিলাকে এলোপাতাড়ি ছুরি চালালো এক প্রতিবেশী যুবক। মহিলাকে বাঁচাতে এলে মহিলার বাবা-মাকেও ছুরি দিয়ে কোপালো ব্যর্থ প্রেমিক। শুক্রবার সাতসকালেই দুর্গাপুরের বিধাননগরের হাউসিং, এস- ব্লকের ৩১৮ নং বাড়িতে ঘটনাটি ঘটেছে। আহত মহিলাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। আহত মহিলার নাম সংযুক্তা মুখার্জী। স্বামীর নাম সঞ্জয় মুখার্জী।
জানা গেছে, বাবা ও মা অসুস্থ থাকায় গৃহবধূ সংযুক্তা মুখার্জী বর্তমানে বিধাননগরে বাপের বাড়িতে ছিলেন। সংযুক্তাদেবীর অভিযোগ, তাঁর বিয়ের আগে প্রতিবেশী এক যুবক রণজিৎ পান্ডে পেশায় জোতিষী প্রথমে তাঁকে প্রেম নিবেদন করে এবং পরে বিয়ের প্রস্তাবও দেয়। সংযুক্তাদেবীর অভিযোগ, তাঁর বিয়ের পরেও তাঁকে উত্যক্ত করত রণজিৎ পান্ডে। তাঁর বিয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিতেই আমি তার রোষানলে পড়ে যাই। আমাকে উচিত শিক্ষা দেওয়ার হুমকিও দেয়। সংযুক্তাদেবী বলেন, ‘শুক্রবার সকাল ছ’টা নাগাদ বাড়ির দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ পেয়ে বাড়ির কাজের লোক এসেছে ভেবে দরজা খুলতেই রণজিৎ আমার উপর এলোপাতাড়ি ছুরি চালাতে থাকে। আমার চিৎকারে বাবা-মা ছুটে এসে আমাকে বাঁচাতে গেলে তাঁদেরও ছুরি দিয়ে কোপাতে থাকে রণজিৎ পান্ডে। এরপর সুযোগ বুঝে রণজিৎ বাড়ি থেকে বেরিয়ে চলে যায়। বৃহস্পতিবার পাড়ায় বাড়ির সামনে জল জমা নিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলরের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার সময় রণজিৎ আমাকে অনেকক্ষণ অনুসরণ করছিল তা আমি টের পাই। তারপর আজ সাতসকালে আমাকে খুনের চেষ্টা করল রনজিৎ পান্ডে।’ সংযুক্তাদেবী ও তাঁর স্বামী সঞ্জয় মুখার্জী সহ গোটা পাড়া রণজিতের কড়া শাস্তির দাবি জানান। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পুলিশ অভিযুক্ত রণজিৎ পান্ডেকে আটক করেছে। এই ঘটনায় শুক্রবার সকালে বিধাননগরের বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।