লকডাউনে বিয়ে। বিয়ের সাজের সঙ্গে বেমানান হলেও স্বাস্থ্য বিধিকে মান্যতা দিয়ে নব দম্পতি মুখে মাস্ক পরেই বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন। বাড়ির সদস্যদের সঙ্গে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বিয়ের অনুষ্ঠান মালাবদল পর্ব সারলেন কিন্তু লকডাউনের নিয়ম মেনে বিয়েতে বৌভাতে ভুরিভোজন পর্ব বাতিল করে সেই টাকাটা তুলে দিলেন স্থানীয় কমিউনিটি কিচেনের কর্মকর্তাদের হাতে। যাতে লকডাউনে বিপন্ন মানুষদের ঘরে খাবার পৌঁছে দিতে পারেন কমিউনিটি কিচেনের সদস্যরা। শনিবার দুর্গাপুরের বীরভানপুরের প্রশান্ত মাঝির এই মানবিক মুখ দেখে স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কমিউনিটি কিচেনে সদস্যরাও তাকে কুর্নিশ জানান।

জানা গেছে, বীরভানপুরের বাসিন্দা প্রশান্ত মাঝির বিয়ের দিন স্থির হয়েছিল অনেক আগেই। তখনও করোনার প্রকোপ শুরু হয় নি। কিন্তু করোনা মোকাবিলায় দেশে এখন লকডাউন চলছে। তাই প্রশান্ত মাঝি বিয়ে‌ করলেও সেখানে ছিল না কোন আড়ম্বরের অনুষ্ঠান। নিতান্তই সাদামাটা ভাবে বিয়ের পর্বটা সেরে বিয়ের বৌভাতের খরচের পুরো টাকাটাই তলে দেন স্থানীয় কমিউনিটি কিচেনের সদস্যদের হাতে।

করোনা মোকাবিলায় লকডাউনে স্থানীয় দুস্থ ও পরিস্থিতির শিকার গৃহবন্দি মানুষদের দু’বেলা দু’মুঠো পেট পুরে খাবারের জোগান দিচ্ছে সগড়ভাঙার কমিউনিটি কিচেন থেকে স্বপ্ন উড়ান নামে এক সমাজ সেবা মূলক সংস্থা। প্রশান্ত মাঝি তাই নিজের পারিবারিক আনন্দ স্থানীয় মানুষের মনে ছড়িয়ে দিতে শনিবার বৌভাতের খরচ তুলে দেন কমিউনিটি কিচেনের মূল পরিচালক স্থানীয় বরো চেয়ারম্যান চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে। স্থানীয় মানুষের সঙ্গে সঙ্গে কমিউনিটি কিচেনের সদস্যরাও প্রশান্ত মাঝির প্রশংসায় পঞ্চমুখ।

Like Us On Facebook