বর্ধমানের মতো বৃহস্পতিবারের পড়ন্ত বিকেলে তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুর্গাপুরের ভিড়িঙ্গি মোড় থেকে আনন্দ গোপাল সরণি হয়ে প্রান্তিকা পর্যন্ত নির্বাচনী পদযাত্রা কার্যত জনসুমুদ্রে পরিণত হল। শিল্পনগরী দুর্গাপুরের আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা বাংলার দিদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এক ঝলক দেখার সঙ্গে সঙ্গে হাত মেলানোর আশায় হাতে ফুলের তোড়া নিয়ে দুপুর থেকেই রাস্তার ধারে অপেক্ষা করতে থাকেন। দুর্গাপুর পুলিশ ও মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা আধিকারিকরা দুপুর থেকেই আনন্দ গোপাল সরণি কড়া নিরাপত্তার বলয়ে মুড়ে ফেলেন।
বিকেল চারটে নাগাদ তৃণমূল কংগ্রেসের দলনেত্রী ভিড়িঙ্গি মোড়ে আসেন এবং বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা আসনের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মমতাজ সংঘমিতা, পশ্চিম বর্ধমান জেলার শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি তথা বিধায়ক বিশ্বনাথ পারিয়াল, পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি উত্তম মুখার্জী, দুর্গাপুরের মেয়র দিলীপ অগস্তিকে নিয়ে পদযাত্রা শুরু করেন। মুখ্যমন্ত্রী পদযাত্রা শুরু করতেই রাস্তার দু’ধরে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষ ‘দিদি-দিদি’ বলে ডাক দিতেই এদিন মুখ্যমন্ত্রী নিরাপত্তা বলয় ভেঙে মানুষের কাছে পৌঁছে যান। কেউ প্রণাম করেন, কেউ হাত মেলান, কেউ কেউ ফুলের তোড়া দেওয়ার চেষ্টা করেন, আবার কেউ কেউ পুষ্পবৃষ্টি করতে থাকেন মুখ্যমন্ত্রীর উপর। এরপর মুখ্যমন্ত্রীর পদযাত্রা সন্ধ্যার মুখে প্রান্তিকায় পৌঁছে শেষ হয়।
এর আগে মুখ্যমন্ত্রী বিধান নগরের এফসিআই কমিউনিটি ফুটবল ময়দানে নির্বাচনী সভায় তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের সাত বছরের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বিজেপি সভাপতি অমিত শাহদের তুলোধোনা করেন।
বর্ধমান ডট কম-এর খবর নিয়মিত আপনার ফেসবুকে দেখতে চান?