রাজ্য সরকারের নির্দেশ মতো সমস্ত বিধি মেনে আজ সোমবার থেকে খুলে গেল দুর্গাপুরের সবকটি শপিং মল। তারমধ্যে রয়েছে দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের জাংশন মল এবং বেনাচিতির ফরচুন প্লাজা। মল গুলিতে ঢোকার মুখেই হাত স্যানিটাইজড করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে এবং মলে ঢোকার আগে থার্মাল স্ক্রিনিং করা হচ্ছে। গোটা মল জুড়েই ক্রেতাদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য বিভিন্ন পয়েন্টে বিশেষ দাগ দেওয়া হয়েছে। সোমবার দুর্গাপুরের মলগুলি খোলার সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতাদের ভিড় বাড়তে থাকে। তবে লকডাউনের আগের মতো এখনই ক্রেতাদের অত ভিড় নেই প্রথম দিনে।
প্রথম দিন অল্পসংখ্যক ক্রেতা মলে এসেছেন। তবে যারা এসেছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই মল কর্তৃপক্ষ সংক্রমণ ঠেকাতে প্রয়োজনীয় যে ব্যবস্থা নিয়েছে তাতে খুশী। সগড়ভাঙা থেকে জাংশন মলে আসা মৌ ব্যানার্জী এবং হরিপুর থেকে আসা জয়িতা নন্দী বলেন, ‘করোনা আবহে মলে সংক্রমণ রুখতে যাবতীয় ব্যবস্থা নিয়েছে মল কর্তৃপক্ষ।’ তাঁরা বলেন, ‘প্রায় আড়াই মাস পর করোনার আতঙ্ক কাটিয়ে নিশ্চিন্তেই মলে আসতে পেরে আমরা খুশি। স্বাস্থ্য বিধি মেনে মলে এলে ভয় কিছু নেই।’ লকডাউনের কারণে দীর্ঘ আড়াই মাসের বিরতি কাটিয়ে দুর্গাপুর যে ফের আবার আপন ছন্দে ফিরছে তা সোমবার বেশ বোঝা গেল।
জাংশন মলের আধিকারিক প্রদীপ চক্রবর্তী বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের নির্দেশ মেনে স্বাস্থ্য বিধি মোতাবেক আজ থেকে জাংশন মল খোলা হল। প্রথম দিনে প্রথম ঘন্টায় ২৯৪ জন ক্রেতা ঢুকছেন জাংশন মলে। এটা দেখে বলা যায় প্রথম দিনে উল্লেখযোগ্য ক্রেতাদের হার রয়েছে মলে। আমরা সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং সহ স্বাস্থ্য বিধিকে মান্যতা দিয়ে ক্রেতাদের যেমন মলে ঢোকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করেছি তেমনই মলে কতজন ক্রেতা কতক্ষণ থাকছেন এবং কতজন বেরিয়ে যাচ্ছেন সেটাও লক্ষ্য রাখছি।’