প্রাপ্তবয়স্ক দুই যুবক-যুবতী পালিয়ে বিয়ে করার অভিযোগে ছেলের বাড়িতে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠল মেয়ের বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। ছেলের বাবা ও দাদাকে তুলে নিয়ে গিয়ে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে মেয়ের বাড়ির লোকজন বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সাত সকালে দুর্গাপুরের বেনাচিতির নতুনপল্লীতে। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। মেয়ের বাড়ির লোকজনের তান্ডবে কার্যত ছেলের বাড়ির লোকজনের দিশাহারা অবস্থা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই দুই যুবক-যুবতী বেনাচিতির নতুনপল্লীর বাসিন্দা। যুবক পেশায় রঙ মিস্ত্রী, যুবতী কলেজ পড়ুয়া। গত প্রায় চার বছর ধরে দু’জনের প্রেমের সম্পর্ক। ১৫ জুলাই তাঁরা বাড়ি থেকে পালিয়ে বিবাহ সূত্রে আবদ্ধ হয়। আর এই আক্রোশে মেয়ের বাড়ির লোকজন ছেলের বাড়িতে চড়াও হয়ে দু’জনকেই মেয়ের বাড়ির লোকজনদের হাতে তুলে দিতে বলেন বলে অভিযোগ। গত কয়েকদিন ধরেই এই নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে গন্ডগোল চলছিল বলে জানা গেছে।
ছেলের বাবা পেশায় মাছ ব্যবসায়ী সন্তোষ বৈদ্য বলেন, ‘গত সোমবার আমার ছেলে ও পাড়ার একটি মেয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করেছে। এর পর থেকেই তাদের দুজনকে মেয়ের বাড়ির লোকজনের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য আমাদের হুমকি দিচ্ছিল মেয়ের বাড়ির লোকজন। বুধবার সকালে মেয়ের বাড়ি থেকে ৩০-৩৫ জন লোক এসে আমাদের বাড়িতে ভাঙচুর করে এবং আমাকে ও আমার বড় ছেলেকে পোলে বেঁধে বেধড়ক মারধর করে।’ সন্তোষ বৈদ্যর বড় ছেলে তাপস বৈদ্য বলেন, ‘প্রাপ্তবয়স্ক দুই যুবক-যুবতী যদি পালিয়ে বিয়ে করে তাহলে আমরা কি করতে পারি? আমাদের বাড়ির ছেলেও তো পালিয়ে গেছে। আমরা বিচার চেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হচ্ছি।’ সন্তোষ বৈদ্যদের অভিযোগ নিয়ে মেয়ের বাড়ির কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় নি।
বর্ধমান ডট কম-এর খবর নিয়মিত আপনার ফেসবুকে দেখতে চান?