দুর্গাপুরের বিভিন্ন বনাঞ্চলে সম্প্রতি যথেষ্ট সংখ্যক হায়না, নেকড়ের দেখা মিলছে। দুর্গাপুর বনবিভাগ বনাঞ্চল এলাকায় বন্য পশুর সংখ্যা বৃদ্ধিতে খুশি। দুর্গাপুরের বিভিন্ন বনাঞ্চল এলাকা বিশেষ করে কাঁকসা, লাউদোহা, পান্ডবেশ্বর এলাকায় বনকর্মীরা নজরদারি চালিয়ে নেকড়ে ও হায়নার দেখা পেয়েছেন। পান্ডবেশ্বরের ইসিএলের পরিত্যক্ত খনিগুলিতেই এদের বেশি করে দেখা মিলছে, যেখানে বনবিভাগের প্রচেষ্টায় এখন গভীর জঙ্গলে পরিণত হয়েছে। সেখানে ধুসর হায়নার দেখা মিলেছে বলে বন বিভাগের দাবি। তাছাড়া লাউদোহা ও কাঁকসার গভীর জঙ্গলগুলোতে প্রচুর সংখ্যক নেকড়ের সন্ধান পাওয়া গেছে বলে দাবি বন বিভাগের।
অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করেই এইসব জঙ্গলে লুকিয়ে থাকা বন্য পশুদের ছবি পাওয়া গেছে বলে দাবি বন বিভাগের আধিকারিকদের। পাশাপাশি বনাঞ্চল এলাকার আশেপাশে বসবাস করা মানুষজনকে নজরদারি রাখতে বলায় হায়না, নেকড়ের অস্তিত্বের প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে দাবি বন বিভাগের আধিকারিকদের। বন বিভাগের আধিকারিকরা এটাকে সুখবর বলেই মনে করছেন। দুর্গাপুরের বন বিভাগের ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার নীলরতন পান্ডা জানান, জঙ্গলে যদি বন্য পশুর সংখ্যা বৃদ্ধি পায় তাহলে বুঝতে হবে জঙ্গলের ঘনত্ব বেড়েছে এবং তারই সুফল হচ্ছে জঙ্গলের বন্য পশুর দর্শন পাওয়া। উল্লেখ্য, শিল্পাঞ্চল গড়ে ওঠার আগে দুর্গাপুরে ছিল শাল-পিয়ালের ঘন জঙ্গলে ঘেরা বিস্তীর্ণ অঞ্চল। তখন সেই গভীর জঙ্গলে বিভিন্ন বন্য পশুদের দেখা পাওয়া যেত। পরবর্তী সময়ে শাল-পিয়ালের জঙ্গল কেটে শিল্পাঞ্চল শহর গড়ে উঠতেই একে একে উধাও হয়ে যায় জঙ্গলের বিভিন্ন পশু।