দুর্গাপুরের বেনাচিতির শ্রীনগর পল্লীতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় গৃহবধূ ময়ূরীর। এই ঘটনায় যুক্ত দোষীদের শাস্তির দাবি ও মৃতার আত্মার শান্তি কামনায় দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারে রবিবার সন্ধায় মৃতার পরিবার পরিজন ও মহিলা প্রতিবাদী সমাজ মোমবাতি জ্বালালো। শ্বশুরবাড়িতে ময়ূরীর অস্বাভাবিক মৃত্যুতে রবিবার বিকেলে দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপের মেঘনাদ সাহা রোডের আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা ময়ূরীর স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের চরম শাস্তি দাবি করেন। পরিজনদের অনেকেই ময়ূরীর শ্বশুরবাড়ির বাকি লোকদেরও গ্রেপ্তারের দাবি জানান।

উল্লেখ্য, শুক্রবার ৯ মার্চ দুর্গাপুরের বেনাচিতির শ্রীনগর পল্লীতে ময়ূরী ওরফে রিয়ার দেহ শ্বশুরবাড়িতে বাথরুমের মধ্যে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ময়ূরীর বাবার বাড়ি থেকে মেয়েকে পরিকল্পিত ভাবে খুন করা হয়েছে বলে দুর্গাপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ময়ূরীর স্বামী, শ্বাশুড়ী ননদাই ও কাকা শ্বশুরকে গ্রেপ্তার করে শনিবার আদালতে তোলে। জানা গেছে, স্টিল টাউনশিপ মেঘনাদ সাহা রোডের বাসিন্দা ময়ূরী মুখার্জির সঙ্গে তিন মাস আগে বেনাচিতির শ্রীনগর পল্লীর বাসিন্দা সৌমেন দের বিয়ে হয়। ময়ূরীর বাবা নেই। মা চন্দ্রানী মুখার্জী অতিকষ্টে মেয়েকে মানুষ করে মেয়ের বিয়ে দেন সৌমেন দের সঙ্গে। বিয়ের পর থেকেই মেয়েকে স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চালাত বলে অভিযোগ ময়ূরীর মা চন্দ্রানীদেবীর। ৯ মার্চ ময়ূরীকে পরিকল্পনা করে খুন করে শ্বশুরবাড়ির লোকজন বলে অভিযোগ চন্দ্রানীদেবীর।


Like Us On Facebook