নবান্নের নির্দেশ ছাড়া ঘাসফুল নড়ে না, পুলিশ প্রশাসন ও নড়ে না। নবান্নের নির্দেশ মেনেই এএসপি ইস‍্যুতে দুর্গাপুরে সোমবার তৃনমূল কংগ্রেস কর্মীরা রেল রোখো কর্মসূচি পালন করেছে। বাম আমলে তৃণমূল কংগ্রেস বনধের রাজনীতি করে এসেছে। এটা ওদেরই কালচার। দুর্গাপুরের মিশন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত বিধায়ক সন্তোষ দেবরায় ও আহত সিপিএম কর্মী জয় সিংকে দেখতে এসে সোমবারের এএসপি বাঁচাতে তৃণমূল কংগ্রেসের রেল রোখো কর্মসূচি নিয়ে এই কটাক্ষ করেন সিপিএম নেতা সুূজন চক্রবর্তী।

সুজনবাবু বলেন, এএসপি কারখানা বাঁচাতে তৃণমূল কংগ্রেসের উচিৎ পৃথক আন্দোলন বন্ধ করে সিপিএম বিধায়ক সন্তোষ দেবরায়এর পিছনে দাঁড়ানো। এতে এএসপি বাঁচবে। আর তৃণমূল কংগ্রেস পৃথক আন্দোলন করলে সংগঠিত আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি না হলে এএসপি কারখানা বন্ধ করতে কেন্দ্রীয় সরকারকে ইন্ধন জোগানো হবে শুধু। এদিন আহত বিধায়ক সন্তোষ দেবরায়কে মিশন হাসপাতালে দেখতে আসেন সুজন চক্রবর্তী ছাড়াও সিটুর রাজ‍্য সভাপতি শ‍্যামল চক্রবর্তী, সিপিএম নেতা রুনু দত্ত, জাহানারা খান সহ দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের সমস্ত শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।

উল্লেখ্য, শনিবার বিদ্যুৎ বিলের সঙ্গে অতিরিক্ত সিকিউরিটি ডিপোজিট জমা নেবার প্রতিবাদে ডিপিএল প্ল্যান্টের প্রশাসনিক ভবনের সামনে ডেপুটেশন দিতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন দুর্গাপুর পূর্ব কেন্দ্রের সিপিএম বিধায়ক সন্তোষ দেবরায়, জয় সিং সহ বেশ কয়েক জন বাম কর্মী। সন্তোষবাবুর মাথায় ও শিরদাঁড়াতে আঘাত লাগে। জয় সিং নামে এক সিপিএম কর্মীর মাথা ফেটে যায়। দুই জনকে প্রথমে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁদের দু’জনকে দুর্গাপুর মিশন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার সকালে সিপিএমের শীর্ষ নেতৃত্ব আহতদের দেখতে মিশন হাসপাতালে আসেন।