লোকসভা ভোটে আসানসোল কেন্দ্রে বামফ্রন্টের প্রার্থীর নাম ঘোষণা হতেই আসানসোলের বামফ্রন্ট প্রার্থী গৌরাঙ্গ চ্যাটার্জী আসানসোল এলাকার বন্ধ কলকারখানা, খনি শ্রমিকদের সমস্যা, বেকারদের চাকরির দাবি সহ আসানসোলের মানুষের দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন চাহিদাকে হাতিয়ার করে মঙ্গলবার থেকেই প্রচার শুরু করে দিলেন। মঙ্গলবার রাধানগর নীচুপাড়ায় বামফ্রন্ট প্রার্থী গৌরাঙ্গ চ্যাটার্জীর সমর্থনে দেওয়াল লিখন করলেন সিপিএম কর্মীরা। এদিন সন্ধ্যায় আসানসোলের কোর্ট বাজারে প্রচার করে জেতার ব্যাপারে তিনি আশাবাদী বলে জানান গৌরাঙ্গ চ্যাটার্জী। গৌরাঙ্গ চ্যাটার্জীর বিপরীতে লড়ছেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী জনপ্রিয় অভিনেত্রী মুনমুন সেন ও বিজেপির সম্ভাব্য প্রার্থী জনপ্রিয় গায়ক বাবুল সুপ্রিয়।
তৃণমূল কংগ্রেস ও সম্ভাব্য বিজেপি প্রার্থীর বাড়তি আকর্ষণকে তোয়াক্কা না করেই বামপন্থী প্রার্থী গৌরাঙ্গ চ্যাটার্জী বলেন, ‘রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস বা কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের গত পাঁচ বছরের কাজ দেখে মানুষ দুই দলের প্রতি বীতশ্রদ্ধ। গত লোকসভা নির্বাচনে আসানসোল থেকে বাবুল সুপ্রিয় বিজয়ী হয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হলেন। কিন্তু বাবুল মানুষের প্রত্যাশাকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে গত তিন বছরে খনি অঞ্চলের ৩৪ টি খনি বন্ধ করে দিয়েছেন। বার্ন স্ট্যান্ডার্ড বন্ধ করে দিয়েছেন। হিন্দুস্তান কেবলস বন্ধ করে দিয়েছেন। এখন কেন্দ্রের সাম্প্রদায়িক ও শ্রমিক বিরোধী বিজেপি সরকার চিত্তরঞ্জন রেল কারখানাকেও রুগ্ন ঘোষণা করার চেষ্টা চালাচ্ছেন।’
গৌরাঙ্গ চ্যাটার্জী রাজ্যের শাসক দলকেও একহাত নেন। তিনি বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে ফুঁসছে মানুষ। আসানসোলে জমি মাফিয়া, বালি মাফিয়া, কয়লা মাফিয়াদের দাপাদাপিতে মানুষ অতিষ্ঠ। বেকারদের চাকরির কোন ব্যবস্থা করতে পারেনি এই রাজ্য সরকার। গত সাত বছরে বাংলায় একটিও শিল্প আসেনি। শিল্পের কোন পরিবেশ তৈরি করতে পারেন নি মুখ্যমন্ত্রী।’ গৌরাঙ্গবাবু বলেন, ‘এই পরিস্থিতিতে পার্লামেন্টে বাম প্রতিনিধিদের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।’ গৌরাঙ্গবাবুর দাবি, আসানসোলের ভুক্তভোগী মানুষ এবার গ্ল্যামার দুনিয়াকে দূরে সরিয়ে মানুষের অধিকার আদায়ে তাঁকে আসানসোল থেকে নির্বাচিত করে পার্লামেন্টে আওয়াজ তুলতে আশীর্বাদ করবেন।