রাত পোহালেই দুর্গাপুরের সৃজনীতে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠক। প্রশাসনের ব্যস্ততা তুঙ্গে। এরইমধ্যে ফের দুর্গাপুরের দামোদর ব্যারেজের ১ নং লক গেট দিয়ে রবিবার দুপুর থেকে জমা জল বেরিয়ে যাচ্ছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে। দুর্গাপুরের সেচ দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের কর্মীরা দক্ষ কর্মীদের সঙ্গী করে রবিবার দুপুরে খড় ও বালির বস্তা দিয়ে দামোদরের ১ নং গেটের মেরামতির অংশে ব্যারেজের উপর থেকে ফেলতে থাকে।
খবরের সত্যতা স্বীকার করে দুর্গাপুরের মহকুমা শাসক শঙ্খ সাঁতরা বলেন, শুনলাম দামোদর ব্যারেজের ১ নং লকগেট দিয়ে সামান্য জল বের হচ্ছে। আমি প্রশাসনিক আধিকারিক পাঠিয়েছি খোঁজ খবর নিতে। তবে চিন্তার কোন কারণ নেই বলে জানান দুর্গাপুরের মহকুমা প্রশাসক। দামোদর ব্যারেজের ১ নং লকগেট দিয়ে জল বেরিয়ে যাচ্ছে শুনে দুর্গাপুরের মেয়র দিলীপ অগস্তি ও দুর্গাপুর নগর নিগমের মেয়র পারিষদ পবিত্র চট্টোপাধ্যায় দামোদর ব্যারেজ পরিদর্শন করেছেন রবিবার দুপুরেই।
উল্লেখ্য, গত নভেম্বর মাসে দামোদর ব্যারেজের ১নং লকগেট বিপর্যয়ে ব্যারেজ জলশূন্য হয়ে পড়ে। পরে দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টের কর্মীরা ও সেচদপ্তর যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তা মেরামতি করে এবং ভাসমান গেট বসানো হয়। জানা গেছে, ওই মেরামত করা অংশ দিয়ে ফের রবিবার দুপুর থেকে জল বেরিয়ে যাওয়া দেখে সেচ দপ্তরের ইঞ্জিনিয়াররা তড়িঘড়ি বালির বস্তা ও খড় দিয়ে লিকেজ বন্ধ করার চেষ্টা করছেন। একদিকে মুখ্যমন্ত্রীর আগমন ও অপরদিকে দামোদর লকগেটে ফের লিকেজের খবর চাউর হতেই প্রশাসনিক ও সেচকর্তাদের কপালে যেমন ভাঁজ দেখা যায় তেমনি দুর্গাপুরবাসীর মনে নভেম্বর মাসের জলশূন্য দামোদরের সেই দুঃস্বপ্নের স্মৃতি ফের চাড়া দেয়।