নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর ১২০ তম জন্মজয়ন্তীতে নেতাজী ঘনিষ্ট আজাদ হিন্দ ফৌজের এক সেনানী দুর্গাপুরের কর্ণেল সুধাংশু শেখর দত্তের পরিবার দিন কাটাচ্ছেন আতঙ্কের মধ্যে। কর্ণেল দত্তের ভাইঝি বনশ্রী রায় দাসের অভিযোগ জেঠুর নেতাজী সংস্রবের দুষ্প্রাপ্য সব স্মৃতি ধরে রাখতে গিয়ে পদে পদে অপদস্থ হতে হচ্ছে গোটা পরিবারকে। নেতাজীর আদর্শে অনুপ্রাণিত সত্য, নিষ্ঠা ও ন্যায়পরায়ণতাকে জীবনের সঙ্গী করে চলে আজ কিছু অসামাজিক মানুষের টার্গেটে এখন স্বাধীনতা সংগ্রামী কর্ণেলের পরিবার।
কর্ণেল দত্ত জীবনের যেকটা দিন বেঁচে ছিলেন নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু ও শহীদদের দুষ্প্রাপ্য সব ছবি নিয়ে তাঁর নিজের বসত বাড়িতে নিজের হাতে তৈরি মিউজিয়ামে রেখেছিলেন যাতে নতুন প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা নেতাজীর আদর্শে উদ্বুদ্ধ হতে পারে। অত্যন্ত সাদামাটা জীবন যাপন করতেন কর্ণেল দত্ত। একই ভাবে কর্ণেল দত্তের মৃত্যুর পর তাঁর পরিবারের সদস্যরাও ওই সব স্মৃতি বুকে আঁকড়ে ধরে রেখেছেন। দত্ত বাড়ির মাহাত্ম প্রায় সকলেই জানেন কিন্তু কর্ণেলের লোভনীয় বসত বাড়িটির জমির দখল নিতে একশ্রেণির দুর্বৃত্ত উঠে পড়ে লেগেছে বলে পরিবারের অভিযোগ। আরও অভিযোগ নিয়ম নিষ্ঠায় ধরে রাখা আশ্রমিক পরিবেশের কর্ণেল দত্তের বাড়িটিতে নোংরা ফেলে উত্যক্ত করছে কিছু দুর্বৃত্ত। আতঙ্ক সৃষ্টি করে বাড়ি ছাড়া করার অভিসন্ধি থেকেই কিছু অসামাজিক লোকজন এই সব করছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ।
নেতাজীর আদর্শে আমরা অনুপ্রাণিত। কোনভাবেই আমরা মাথা নত করব না কাপুরুষদের কাছে – বনশ্রী রায় দাস
কর্ণেল দত্তের বাড়িতে নেতাজীর নিত্যপুজা হয়ে থাকে। প্রতিবারের মতো এবারও নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর ১২০ তম জন্মজয়ন্তী সাদামাটা ভাবেই পালন করেন কর্ণেল দত্তের পরিবার।
একরাশ অভিমান উগরে দিয়ে কর্ণেল দত্তের ভাইঝি বর্ধমান ডট কমকে বলেন, “আমি ৪০ বছর ধরে স্কুলে শিক্ষকতা করেছি। এই বৃদ্ধ বয়সে অবসর জীবনে এখন জেঠুর নেতাজী সংস্রবের দুষ্প্রাপ্য সব স্মৃতি বাঁচিয়ে রাখতে গিয়ে পদে পদে অপদস্থ হতে হচ্ছে আমাদের। কিছু দুর্বৃত্ত বাড়ি ছাড়া করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে।” তিনি আরও বলেন, নেতাজীর আদর্শে আমরা অনুপ্রাণিত। কোনভাবেই আমরা মাথা নত করব না কাপুরুষদের কাছে।