২ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলার পর বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিনের পর দিন সহবাস করার পর বিয়ে করতে অস্বীকার করায় প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধর্ণায় বসলেন প্রেমিকা। লকডাউন, করোনা আবহের মাঝে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ালো ভাতাড় থানার কালুত্তক গ্রামে। সম্প্রতি সরকারি বাস পরিষেবা চালু হওয়ার পর সেই বাসেই শনিবার সাতসকালেই মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের বাসিন্দা সামিরুল খাতুন তাঁর দাদাকে সঙ্গে নিয়ে এসে হাজির হন কালুত্তক গ্রামে তুহিন খানের বাড়ির সামনে। বাড়ির সামনেই তিনি ধর্ণায় বসে পড়েন। আর আচমকা প্রেমিকাকে তাঁর বাড়ির সামনে দেখেই হকচকিয়ে যাওয়া তুহিন খান গা ঢাকা দিলেন।

সামিরুল খাতুন এদিন জানিয়েছেন, প্রায় ৯ বছর আগে কলকাতায় তাঁর বিয়ে হয়। ৮ বছরের কন্যা সন্তানও রয়েছে তাঁর। ২ বছর আগে কাজের সূত্রে তুহিন খান কলকাতায় যায়। তখনই তুহিনের সঙ্গে তার আলাপ হয়। আলাপ থেকে প্রেম। এরই মাঝে প্রায় ১ বছর আগে সামিরুলের স্বামী মারা যান। এদিকে, স্বামী জীবিত থাকাতেই তুহিন খানের সঙ্গে গভীর সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। তাঁকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতিও দেন তুহিন খান। আর স্বামী মারা যাওয়ার পর সেই দাবিকেই মান্যতা দিয়ে তাঁকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতিও দেন তুহিন খান বলে দাবি করেছেন সামিরুল। কিন্তু লকডাউনের আগে থেকেই তুহিন যোগাযোগ রাখা বন্ধ করে। এমনকি ফোনের সিমকার্ডও বদলে ফেলে বলে অভিযোগ। সামিরুল জানিয়েছেন, তুহিন খানের সঙ্গে তিনি সম্পর্ক রাখায় তাঁর সঙ্গে শ্বশুরবাড়ির সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়। মেয়েকেও শ্বশুরবাড়ির লোকজন আটকে রাখে। সামিরুল খাতুনের অভিযোগ, তুহিন খানের জন্যই তিনি সব হারিয়েছেন। এখন সেই তার সঙ্গে প্রতারণা করছে। তাই বাধ্য হয়েই তিনি হাজির হয়েছেন তুহিন খানের বাড়িতে। তাঁর দাবি, তাঁকে স্ত্রী হিসাবে স্বীকার করতে হবে তুহিন খানকে। তবেই তিনি ধর্ণা থেকে উঠবেন। এদিকে, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এদিন সকাল থেকেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় কালুত্তক গ্রামে। যদিও এব্যাপারে তুহিন খানের পরিবারের কেউ মুখ খুলতে চাননি। সামিরুল খাতুন এব্যাপারে ভাতাড় থানাতেও অভিযোগ জানিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

Like Us On Facebook