শিক্ষক অপহরণ কান্ডে ছয় অভিযুক্তকে গ্রেফতার সহ অপহরণ কান্ডে ব্যবহৃত স্করপিও গাড়িটিকে উদ্ধার করে কাঁকসা থানার পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিতে আজ দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে হাজির করল অপহরণকারীদের। কাঁকসার এসিপি সন্দীপ কারার একথা জানান। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বাঁকুড়ার সোনামুখীর এক স্কুলে কর্মরত ওই স্কুলশিক্ষককে কাঁকসা থেকে ২৩ নভেম্বর অপহরণ করে দুষ্কৃতীরা। এরপর অপহৃত শিক্ষককে কাঁকসা, সোনামুখী এমনকি নদীয়াতেও নিয়ে যাওয়া হয়। শিক্ষকের পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি করায় শিক্ষকের পরিবারের পক্ষ থেকে মুক্তিপণ দিয়ে শিক্ষককে ছাড়িয়ে আনা হয় বলে দাবি। এরপর ওই শিক্ষকের পরিবারের পক্ষ থেকে কাঁকসা থানায় একটি অপহরণের ঘটনার অভিযোগ দায়ের করা হয়। কাঁকসা থানার পুলিশ অপহরণ কান্ডের তদন্তে নেমে বুদবুদের কোটা গ্রাম ও সোনামুখী থেকে ছয় অভিযুক্ত সহ অপহরণ কান্ডে ব্যবহৃত স্করপিও গাড়িটিকে আটক করে। ধৃতদের পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নিয়ে চক্রের মাথাদের ধরতে মঙ্গলবার ধৃতদের দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে হাজির করে।
দুষ্কৃতীদের দাবি মতো প্রায় চার লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে শিক্ষককে উদ্ধারের ঘটনা কাঁকসা থানার পুলিশের ছক বলে দাবি করেন কাঁকসার এসিপি সন্দীপ কারার। এসিপি বলেন, ‘শিক্ষককে সুরক্ষিত ভাবে উদ্ধার করতে পুলিশ নিজেই কৌশল তৈরি করে দেয় শিক্ষকের পরিবারকে। এরপরেই মুক্তিপণ দিয়ে শিক্ষককে দুষ্কৃতীরা ছেড়ে দিতেই পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে গোয়েন্দা পুলিশ বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে শিক্ষক অপহরণ কান্ডে ছয় জন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার ও অপহরণ কান্ডে ব্যবহৃত একাধিক মোবাইল এবং স্করপিও গাড়িটি উদ্ধার করে। পুলিশ এখন এই ছয়জনকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে অপহরণ কান্ডের মূল চক্রীদের ধরতে তৎপরতা শুরু করেছে। কাঁকসার এসিপি সন্দীপ কারারের দাবি, দুষ্কৃতীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে খুব শীঘ্রই মুক্তিপণের টাকাও উদ্ধার করা সম্ভব হবে।