কেজি ওয়ানের এক ক্ষুদে পড়ুয়াকে লাঠি দিয়ে কানে মারার অভিযোগে দুর্গাপুরের গুরুনানক রোডের একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে মঙ্গলবার ক্ষোভে ফেটে পড়ে অভিভাবকরা বিক্ষোভ দেখান। খবর পেয়ে দুর্গাপুর থানার পুলিশ ছুটে এসে অবস্থা সামাল দেবার চেষ্টা করে। অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষিকা ছাত্রীটিকে কানে লাঠি দিয়ে মারার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। সিটি টিভি ফুটেজে কোন প্রমাণ নেই বলে স্কুল কর্তৃপক্ষও বিষয়টি নিয়ে কোন তৎপরতা দেখায় নি বলে অভিযোগ অভিভাবকদের। শেষমেশ পরিস্থিতির চাপে পড়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা বুধবার পর্যন্ত বিষয়টি তদন্ত করে দেখার সময় চাওয়ায় অভিভাবকরা মঙ্গলবার শান্ত হয়ে বিক্ষোভ বন্ধ করেন।

অভিভাবকদের সূত্রে জানা গেছে, দু’দিন আগে গুরুনানক রোডের ওই ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের কেজি ওয়ানের চার বছরের ক্ষুদে পড়ুয়া টয়লেট গিয়ে দেরি করে ক্লাসে ফেরায় তাকে তার শিক্ষিকা শাস্তি দিতে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। লাঠির এক টুকরো ওই ক্ষুদে পড়ুয়ার কানে বিঁধে যাওয়ায় কানে ব‍্যাথার কথা স্কুলের পর সে তার মাকে জানায়। এরপরেই ওই অভিভাবিকা স্কুলে এসে ওই দিনেই অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষিকার নামে অভিযোগ জানান প্রধান শিক্ষিকার কাছে। কিন্তু দু’দিন পেরিয়ে গেলেও স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা অভিযুক্ত শিক্ষিকার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় মঙ্গলবার অভিভাবকরা অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষিকার নির্মমতা নিয়ে সোচ্চার হন। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা অভিযুক্ত শিক্ষিকার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন।

দুর্গাপুরের গোপাল মাঠের বাসিন্দা তানিয়া চ‍্যাটার্জীর অভিযোগ, আমার মেয়ে টেয়লেটে দেরি করায় কানে লাঠি দিয়ে মারে স্কুলের এক শিক্ষিকা। কানে লাঠির টুকরো ঢুকে যায়। কান থেকে লাঠির টুকরো বের করতে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হতে হয় আমাকে। অথচ স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার কাছে অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা কোন ব্যবস্থা নিলেন না। তানিয়াদেবীর পাশে দাঁড়ানো অন্যান্য অভিভাবকরাও একই অভিযোগ করেন স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে।

Like Us On Facebook