বর্ধমানের রায়না ১ নং পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ চৌধুরী মোস্তাফা হোসেন ওরফে মিঠু (৪২) সোমবার পঞ্চায়েত সমিতি অফিসেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ালো। তাঁর বাড়ি সেহারা গ্রাম পঞ্চায়েতের আউসারা গ্রামে। তবে তিনি বর্তমানে বর্ধমান শহরে থাকতেন। কি কারণে তিনি এই আত্মহত্যা করেছেন তা নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। বর্ধমান জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ উত্তম সেনগুপ্ত জানিয়েছেন, তিনিও ঘটনার কথা শুনেছেন। কি কারণে এই ঘটনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। উত্তমবাবু জানিয়েছেন, এদিন বিকালে পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ রুমের বাইরের বারান্দায় মিঠুবাবু গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। বেশ কিছুক্ষণ পর পঞ্চায়েত সমিতির কর্মীরা বিষয়টি দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে।
জানা গেছে, এদিন সকালে নিজের মোটকবাইকে একটি দুর্ঘটনা ঘটে তাঁর। শরীরের বেশ কিছু জায়গায় তাঁর আঘাত লাগে। এদিন বিকালে দলীয় একটি কর্মী সভায় যোগ দেবার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু তিনি সেখানে না গিয়ে পঞ্চায়েত সমিতির অফিসে আসেন এবং সেখানেই বারান্দায় নাইলনের দড়ির ফাঁসে তিনি আত্মঘাতি হন। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, তিনি বেশ কিছুদিন ধরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। তাঁর এক ছেলে ও এক মেয়ে এবং স্ত্রী বর্তমান। পারিবারিক কোনো সমস্যা ছিল না বলে তাঁর ঘনিষ্টরা জানিয়েছেন। এদিকে, এই ঘটনা শোনার পরই পুলিশ আধিকারিক সহ রায়নার বিধায়ক নেপাল ঘড়ুই, বর্ধমান সদর মহকুমা শাসক (দক্ষিণ) ঘটনাস্থলে হাজির হন। মিঠু চৌধুরী বিধায়ক প্রতিনিধিও ছিলেন বলে জানা গেছে। তাঁর এই মৃত্যুর ঘটনায় গোটা এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।